লেবার-কনজারভেটিভ কেউই জয়ী হওয়ার যোগ্য নয়
যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার বলেছেন, যুক্তরাজ্যে এখন একটি জগাখিচুড়ি অবস্থা বিরাজ করছে এবং আগামী ১২ ডিসেম্বরের নির্বাচনে বিরোধী লেবার পার্টি কিংবা কনজারভেটিভ পার্টি কোনোটিই জয়ী হওয়ার যোগ্য নয়।
নির্বাচনের আগে রাজনীতি পুরোপুরি অকার্যকর হয়ে আছে এবং লেবার কিংবা কনজারভেটিভ যে দলেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাক তা একটি ‘ঝুঁকি হয়ে বিরাজ করবে’ বলেই মনে করেন ব্লেয়ার।
ইউরোপের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের সম্পর্কোচ্ছেদের (ব্রেক্সিট) চুক্তি নিয়ে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। যে কারণে বাধ্য হয়ে মেয়াদের তিন বছর আগেই আগাম জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণা দিতে হয়েছে।
রয়টার্সের একটি অনুষ্ঠানে বেøয়ার বলেন, “আমরা জগাখিচুড়ি অবস্থার মধ্যে আছি। সত্যি হচ্ছে: নির্বাচনে প্রধান দলগুলো পুরোদস্তুর জেতার যোগ্য কিনা জনগণ সে বিষয়েই একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারছে না।”
লেবার নেতা ব্লেয়ার ১৯৯৭ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। তিনিই একমাত্র লেবার নেতা যিনি তিন তিনবার নির্বাচনে জিতেছেন।
নিজের দলের বর্তমান নেতৃত্ব নিয়ে খুব একটা সন্তুষ্ট নন ব্লেয়ার। তিনি বলেন, “দলের নেতা জেরেমি করবিন বিপ্লবের প্রস্তাব দিচ্ছেন। কিন্তু বিপ্লব নিয়ে সমস্যা হল কিভাবে সেটা শুরু হচ্ছে তা নয় বরং কিভাবে শেষ হচ্ছে সেটি।”
আগামী ১২ ডিসেম্বরের নির্বাচনে জিতলে সমাজতান্ত্রিক দল লেবার পার্টি ব্রেক্সিট প্রশ্নে দ্বিতীয় গণভোট আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
অন্যদিকে, ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি জিতলে আগামী বছর জানুয়ারির শেষ দিকে ‘ব্রেক্সিট সম্পন্ন’ করতে চায়। প্রয়োজনে ‘চুক্তিহীন ব্রেক্সিট করতে হলেও’। যদিও বেøয়ার মনে করেন চুক্তিহীন ব্রেক্সিট বিষয়ে আলোচনারই সুযোগ নেই। “ইউরোপের সঙ্গে ভবিষ্যৎ সম্পর্কের প্রশ্নে আলোচনা এরকম দোদুল্যমান অবস্থায় শেষ করার কোনো সুযোগ নেই।”
করবিনের হাত ধরে লেবার পার্টি দ্রæতগতিতে বাম রাজনীতির দিকে ধাবিত হচ্ছে বলে মনে করেন বেøয়ার। এরকম চলতে থাকলে দলটি আর কখনো ব্রিটিশ রাজনীতির কেন্দ্রে আসতে পারবে না বলেও শঙ্কা তার।
তিনি বলেন, “ব্রিটিশ রাজনীতির সংবেদনশীল মূলধারায় ফিরতে হলে দলে জরুরি ভিত্তিতে সংস্কার করতেই হবে।”