চূড়ান্ত বিতর্কে জেরেমি করবিন ও বরিস জনসন
গণভোটে অনড় করবিন, বরিসের চাই ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন
যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনের আগে শুক্রবার চূড়ান্ত টেলিভিশন বিতর্কে অংশ নিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এবং বিরোধীদলীয় নেতা জেরেমি করবিন। বিবিসি আয়োজিত এ বিতর্কে ‘ব্রেক্সিট’ ইসু্যতে তুমুল বাগ্যুদ্ধে জড়ান এই দুই নেতা।
বিতর্ক অনুষ্ঠানে জেরেমি করবিন বলেন, ‘সব দলের সঙ্গে আলোচনা করে আবারও গণভোটের মাধ্যমে ব্রেক্সিট ইসু্যর সমাপ্তি চায় লেবার পার্টি। অন্যদিকে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। নির্বাচনের ঠিক ছয় দিন আগে শেষ দফায় টেলিভিশন বিতর্কে মুখোমুখি হন তারা।
স্থানীয় সময় শুক্রবার রাতের এই বিতর্কে ব্রেক্সিট ইসু্যতে বিপরীতমুখী অবস্থান নেন এই দুই শীর্ষ নেতা। পাশাপাশি স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা এবং উত্তর আয়ারল্যান্ড সীমান্তসহ বিভিন্ন বিষয়ে নিজেদের প্রতিশ্রম্নতি তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন বলেন, সব দলের সঙ্গে আলোচনা করে আবারো গণভোটের মাধ্যমে ব্রেক্সিট ইসু্যর ইতি টানতে চায় লেবার পার্টি।
দলটির নেতা জেরেমি করবিন বলেন, ‘লেবার পার্টি দেশের সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করতে চায়। আমরা এমন একটি সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে চাই, যেখানে সবার জন্য সমান সুযোগ থাকবে। সবাই নিরাপদবোধ করবে। বর্তমানে যুক্তরাজ্যে ৪০ লাখের বেশি শিশু দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছে। তারা সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা আমরা ঢেলে সাজাতে চাই। সবার জন্য বিনামূল্যে শিক্ষার ব্যবস্থা করা হবে। বয়স্কদের সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে চাই।’
এ সময় ‘চমৎকার চুক্তি’র মাধ্যমে ৩১ জানুয়ারির আগেই ব্রেক্সিট বাস্তবায়নে নিজের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন কনজারভেটিভ দলের নেতা ও প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচনের পর যুক্তরাজ্যে নতুন একটি অধ্যায় রচিত হবে। আমরা ব্রেক্সিট কার্যকর করতে চাই। দেশের বর্তমান স্থবির অবস্থার অবসান চাই। সে লক্ষ্যেই দেশের বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ বাড়ানো হবে। স্বাস্থ্য খাতে অর্থ বরাদ্দ বাড়ানো হবে। অবকাঠামো, শিক্ষা এবং প্রযুক্তি খাতকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হবে।’