সৌদি আরব থেকে বেশি রেমিট্যান্স
রেমিট্যান্স আহরণের শীর্ষে ইসলামী ব্যাংক
প্রতিবছর দেশে যে পরিমাণ রেমিট্যান্সের অন্তঃপ্রবাহ ঘটে তার সিংহভাগই আসছে হাতে গোনা কয়েকটি দেশ থেকে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও যুক্তরাষ্ট্র। এই তিন দেশ থেকেই রেমিট্যান্সের প্রায় ৪৫ শতাংশ আসে। এর মধ্যে সৌদি আরব থেকেই সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স আসছে। এ ছাড়া যুক্তরাজ্য, মালয়েশিয়া, কুয়েত, ওমান ও কাতার থেকেও রেমিট্যান্স আসার গতি ভালো।
অন্যদিকে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স আহরণে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ। এ ছাড়া ডাচ্-বাংলা ব্যাংক, সোনালী ও অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমেও উল্লেখযোগ্য রেমিট্যান্স আসছে দেশে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন পর্যালোচনায় এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-অক্টোবর) রেমিট্যান্স এসেছে ৭৭১ কোটি ডলার। এর মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে এসেছে প্রায় ৪৫০ কোটি ডলার, যা এ পর্যন্ত পাঠানো মোট রেমিট্যান্সের প্রায় ৫৮ শতাংশ। আর ইউরোপ ও আমেরিকার দেশগুলো থেকে এসেছে ৩২১ কোটি ডলার বা ৪২ শতাংশ। এ সময়ে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরব থেকে সর্বোচ্চ ১৬১ কোটি ৮৫ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। এ ছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ১১০ কোটি ৪৬ লাখ, কুয়েত থেকে ৬০ কোটি ৯৯ লাখ, ওমান থেকে ৫২ কোটি ৭৯ লাখ, কাতার থেকে ৪৫ কোটি ৭৬ লাখ ও বাহরাইন থেকে ১৭ কোটি ৭০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। আর ইউরোপ ও আমেরিকার দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৮৯ কোটি ৩৭ লাখ, যুক্তরাজ্য থেকে ৬০ কোটি ২৫ লাখ, মালয়েশিয়া থেকে ৫২ কোটি ৯৮ লাখ, ইতালি থেকে ৩৩ কোটি ৪২ লাখ ও সিঙ্গাপুর থেকে ১৮ কোটি ৮০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে।
অন্যদিকে নভেম্বর মাসের হিসাবে সর্বোচ্চ ৩০ কোটি ৪৮ লাখ ডলার রেমিট্যান্স আহরণ করে সবার শীর্ষে আছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ। এ ছাড়া এ মাসে অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে ১৩ কোটি ৬৬ লাখ, সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে ৯ কোটি ৬৬ লাখ, জনতার মাধ্যমে ছয় কোটি ৫৭ লাখ, রূপালীর মাধ্যমে দুই কোটি, বেসরকারি ডাচ্-বাংলার মাধ্যমে ২৫ কোটি ৬৭ লাখ, আল-আরাফাহ্র মাধ্যমে তিন কোটি ৩৭ লাখ, ব্যাংক এশিয়ার মাধ্যমে ছয় কোটি ৭৫ লাখ, ব্র্যাকের মাধ্যমে দুই কোটি ৮৪ লাখ, মার্কেন্টাইলের মাধ্যমে দুই কোটি ১২ লাখ, এমটিবির মাধ্যমে তিন কোটি ৩৭ লাখ, ন্যাশনালের মাধ্যমে তিন কোটি ২৮ লাখ, এনসিসির মাধ্যমে চার কোটি ৮২ লাখ, ওয়ান ব্যাংকের মাধ্যমে দুই কোটি ১৬ লাখ, প্রাইমের মাধ্যমে তিন কোটি ৩৩ লাখ, পূবালীর মাধ্যমে চার কোটি ৩৬ লাখ, সাউথইস্টের মাধ্যমে তিন কোটি ৬৬ লাখ, দ্য সিটির মাধ্যমে তিন কোটি ৫৬ লাখ, ট্রাস্টের মাধ্যমে তিন কোটি ৪৬ লাখ, ইউসিবির মাধ্যমে তিন কোটি ২৫ লাখ ও উত্তরার মাধ্যমে তিন কোটি ১৯ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে।