ইস্ট লন্ডন মসজিদের নতুন কমিটি নির্বাচিত
হাবিবুর রহমান চেয়ারম্যান, আইয়ুব খান ও শাফিউর রহমান ভাইস চেয়ারম্যান
ইস্ট লন্ডন মসজিদ ও লন্ডন মুসলিম সেন্টারের ৬০তম সাধারণ সভা ও ট্রাস্টি বোর্ডের দ্বি-বার্ষিক (২০১৯-২০২১) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে চেয়ারম্যান পদে পুনঃনির্বাচিত হয়েছেন মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আইয়ুব খান ও মুহাম্মদ শাফিউর রহমান। সেক্রেটারি নির্বাচিত হয়েছেন আব্দুল হাই মুর্শেদ এবং ট্রেজারার নির্বাচিত হয়েছেন মুহাম্মদ আব্দুল মালিক।
গত ২ নভেম্বর শনিবার দুপুরে মারিয়াম সেন্টারে উক্ত সাধারণ সভা ও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। মসজিদের সদস্যবৃন্দ গোপন ব্যালটের মাধ্যমে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। নির্বাচন পরিচালনা করেন ফিন্সবারী পার্ক জামে মসজিদের ডাইরেক্টর মোহাম্মদ কজবার ও ইস্ট লন্ডন মস্ক আর্কাইভ স্টিয়ারিং গ্রুপের চেয়ারম্যান ড. জামিল শরীফ। নির্বাচিত এবং কো-অপ্টেড ট্রাস্টিবৃন্দ হচ্ছেন সর্বজনাব মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, আইয়ুব খান, শাফিউর রহমান, ড. আব্দুল হাই মুর্শেদ, মোহাম্মদ আব্দুল মালিক, সিরাজুল ইসলাম হীরা, সিরাজুল ইসলাম, আমান আলী, ড. মাহেরা রুবি, রাহেলা চৌধুরী, হোসাইন শিপার, ইসমাইল পাটেল ও রুহানা আলী।
সাধারণ সভায় ইস্ট লন্ডন মসজিদ ট্রাস্টের গঠণতন্ত্র অনুযায়ী সদস্যদের প্রকাশ্য ভোটে ১০ সদস্যবিশিষ্ট ট্রাস্টি বোর্ড নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে নির্বাচিত ট্রাস্টি বোর্ডের প্রথম সভায় সর্বসম্মতিক্রমে চেয়ারম্যান, দুই ভাইস চেয়ারম্যান, সেক্রেটারি ও ট্রেজারার নির্বাচিত হন। এছাড়াও, ট্রাস্টি বোর্ড সাধারণ সদস্যদের মধ্য থেকে আরও ৩ জন ট্রাস্টি নিয়োগ করে। সবমিলিয়ে নতুন ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য সংখ্যা ১৩ জন। উল্লেখ্য, ইউরোপের অন্যতম বৃহত্তম এই ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে প্রায় ৩৬টি প্রজেক্ট চালু রয়েছে। পুরুষ ও মহিলাদের পৃথক নামাজের সুব্যবস্থার পাশাপাশি রয়েছে, ইভনিং মাদ্রাসা, প্রাইমারী স্কুল, সেকেন্ডারি স্কুল, বিজনেস সেন্টার, ফিটনেস সেন্টার, ফিউনারেল সার্ভিস, ফ্রি লিগ্যাল সার্ভিস, ম্যারেজ ব্যুারোসহ বহুবিধ সার্ভিস।
এক প্রতিক্রিয়ায় নতুন কমিটির নেতৃবৃন্দ মসজিদকে আরও অনেকদূর এগিয়ে নেয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, ইস্ট লন্ডন মসজিদ হচ্ছে কমিউনিটির সর্বস্তরের মানুষের প্রাণকেন্দ্র। যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাজ্যের বাইরের মুসলমানদের জন্য আনন্দ ও গর্বের প্রতিষ্ঠান। মানুষের প্রত্যাশা পুরনে এই মসজিদ নিবেদিতভাবে কাজ করে যাচ্ছে, যদিও শতভাগ প্রত্যাশা পুরন সম্ভব নয়। আমাদের নবনির্বাচিত ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যবৃন্দ অত্যন্ত দক্ষ ও অভিজ্ঞ। আমরা আমাদের অভিজ্ঞতার আলোকে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে আল্লাহর এই ঘরকে সেবা করার চেষ্টা করবো ইনশাল্লাহ। আমরা সকলের দোয়া ও সহযোগিতা চাই।
নবনির্বাচিত সেক্রেটারি ড. আব্দুল হাই মুর্শেদ বলেন, মসজিদ হচ্ছে আল্লাহর ঘর। আর আমরা যারা নতুন কমিটিতে স্থান পেলাম তাঁরা মসজিদের একেকজন খাদিম। আমাদের কাজ হবে খাদিম হিসেবে নিজেদেরকে মসজিদের কাজে নিবেদিত করা। তিনি বলেন, আমি আল্লাহ তায়ালার কাছে সাহায্য চাই, তিনি যেন আগামী দিনের যাবতীয় চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা ও সুযোগ কাজে লাগানোর জন্য যে সম্মিলিত নেতৃত্ব ও দূরদৃষ্টি প্রয়োজন তা মসজিদ কমিটিকে দান করেন। জনাব মুর্শেদ বলেন, আমরা আগামী চারবছরের কৌশলগত পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য কাজ শুরু করবো। তাতে অগ্রাধিকার পাবে মসজিদ পরিচালিত স্কুল ও অন্যান্য শিক্ষা বিষয়ক উদ্যোগগুলোর পর্যালোচনা, অমুসলিম ও নতুন মুসলমানদের জন্য উন্নত সেবা নিশ্চিত করা এবং যুব সমাজের চাহিদা অনুযায়ী এমন উদ্যোগ গ্রহণ করা যা আমাদের সমাজে সত্যিকার অর্থে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তিনি বলেন, মহিলাদের সেবার মান আরো বিস্তৃত ও উন্নত করতে আমাদের অনেক পরিকল্পনা রয়েছে। তা বাস্তবায়নে আমরা সাধ্য অনুযায়ী কাজ করে যাবো। তাছাড়া বয়স্ক মানুষের সেবা কার্যক্রম আরো সম্প্রসারনে সচেষ্ট থাকবো। আমাদের দায়িত্ব পালনে আল্লাহ তায়ালার সাহায্য, সকলের দোয়া ও গঠনমুলক পরামর্শ প্রয়োজন। -সংবাদ বিজ্ঞপ্তি