ব্রিটেনে ২০১০ সাল থেকে বন্ধ হয়েছে ৮০০ লাইব্রেরি
বার্ষিক জরিপে দেখা যায় যে স্হানীয় কর্তৃপক্ষের তহবিল কমানোয় শাখাগুলো ১৭% লোকসানের পাশাপাশি দক্ষকর্মী হারানো ও তহবিলের ঘাটতিতে পড়ে। নতুন পরিসংখ্যানে প্রকাশিত হয়েছে যে ২০১০ সালে কনজারভেটিভ-লিবারিয়ান ডেমোক্রেটিক সরকারের কঠোরতা প্রয়োগের পর প্রায় ৮০০টি গ্রন্থাগার বন্ধ রয়েছে।
চাটার্ড ইনস্টিটিউট অফ পাবলিক ফিনান্স এন্ড একাউন্ট্যান্সির (সিপফা) বাষির্ক সমীক্ষায় দেখা গেছে যুক্তরাজ্যে ৩,৫৮৩টি লাইব্রেরির শাখা এখনো খোলা রয়েছে যা গত বছরের তুলনায় ৩৫টি কম।
সিপফা’র ভাষ্য অনুযায়ী ২৯.৬% ব্যয় কমানোর ফলস্বরূপ গত দশ বছরে যুক্তরাজ্যের প্রায় এক পঞ্চমাংশ লাইব্রেরী বন্ধ হয়ে গেছে। ২০০৯/২০১০ সময়ে টরি-নেতৃত্বাধীন সরকারের কঠোর অভিযানের সূচনায় বেতনভোগী গ্রন্থাগারিকের সংখ্যা ও কমতে থাকে। তৎকালিন সময়ে যা ছিলো ২৪০০০ তা গত বছরে দাঁড়ায় ১৫,৩০০ এ এবং ৫১০০০ এর বেশি স্বেচ্ছাসেবক ও ছিলেন। শাখা ও বেতনভোগী কর্মীর সংখ্যা হ্রাস পাওয়ায় লাইব্রেরি পরির্দশনের পরিমানও ২০০৯/২০১০ এর ৩১৫ মিলিয়ন থেকে কমে গত বছর ২২৬ মিলিয়ন হয়েছিলো।
সিপফা’র প্রধান নিবার্হী রব হোয়াইটম্যান বলেন, স্হানীয় কাউন্সিলগুলোকে বাধ্য করা হয় তাদের বাজেটকে সামাজিক সেবামূলক কাজে ব্যয় করতে। এটি হচ্ছে আজকের স্হানীয় সরকারের অবস্হা। দেশ যেহেতু নিবার্চনে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে, প্রাথীর্দের উচিত স্হানীয় সরকারের ভূমিকা এবং লাইব্রেরির মতো নিম্ন অগ্রাধিকার দেয়া সেবা সমুহ নিয়ে জনগনের সাথে কথা বলা।