টাওয়ার হ্যামলেটস এ পতিতাবৃত্তি বন্ধে শিক্ষামূলক কর্মসূচি
টাওয়ার হ্যামলেটসের রাস্তাঘাটে পতিতাবৃত্তি বন্ধ করতে কাউন্সিল প্রথমেই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ না নিয়ে তাকে একটি শিক্ষামূলক কর্মসূচিতে অংশ নেয়ার সুযোগ দেয়। পুণরায় অপরাধ করা থেকে বিরত রাখতে উদ্বুদ্ধকরণের লক্ষ্যে গৃহিত শিক্ষামূলক কর্মসূচিটির নাম হচ্ছে বিরত থাকো এবং ভাবো।
কার্ব ক্রোলারস হিসেবে পরিচিত ফুটপাতে দাঁড়িয়ে খদ্দের ধরে যারা, তারা যদি কাউন্সিলের এনফোর্সমেন্ট অফিসার অথবা পুলিশের হাতে ধরা পড়ে, তাহলে শিক্ষামূলক কর্মসূচিতে অংশ নিতে ২০০ পাউন্ড প্রদান করতে হবে। পুণরায় একি অপরাধে জড়িয়ে পড়ার হার কমাতে এই উদ্যোগ কার্যকর ভূমিকা রাখছে বলে এর প্রশংসা করেছে পূর্ব লন্ডনের কমিউনিটি সেফটি টীমগুলো।
যদি শিক্ষামূলক কর্মসূচিতে অংশ না নেয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হবে। নির্বাহী মেয়র জন বিগস এ প্রসঙ্গে বলেন, অপরাধমূলক ও অসামাজিক কার্যকলাপ নিয়ে বাসিন্দারা তাদের উদ্বেগের কথা আমাদের জানিয়েছেন। আমাদের রাস্তাগুলোকে অপরাধমূলক কর্মকান্ড থেকে মুক্ত ও নিরাপদ রাখতে এটি হচ্চেছ একটি উদ্ভাবনী কর্মসূচি।
কেবিনেট মেম্বার ফর কমিউনিটি সেফটি, কাউন্সিলর আসমা বেগম বলেন, পতিতাবৃত্তির সাথে জড়িত মহিলারা অসহায় এবং মাদকের ব্যবহার, পারিবারিক সহিংসতা সহ নানা অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে পড়ে। আমাদের এই কর্মসূচি তাদেরকে এসব কাজ থেকে বিরত থাকতে অনুপ্রাণিত করবে।
২০১৭ সালের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ২৯ জন এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছে এবং তাদের মধ্যে মাত্র এক জন পুণরায় এই কাজে জড়িত হয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয় এবং আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাকে ১২ মাসের শর্তযুক্ত মুক্তি, ৮৫ পাউন্ড জরিমানা ও ২০ সারচার্জ প্রদানের নির্দেশ দেয়। পতিতাবৃত্তি থেকে বের হয়ে আসতে মহিলাদের সাহায্য করার জন্য কাউন্সিলের আশার দরোজা নামে একটি সাপোর্ট সার্ভিস রয়েছে। এই সার্ভিস ভাসমান মহিলাদের সহায়তা দিয়ে থাকে।
বারায় আগামী তিন বছরের মধ্যে আরো অতিরিক্ত ৩৯ জন পুলিশ অফিসার নিয়োগ করতে কাউন্সিল ৩ মিলিয়ন পাউন্ড বরাদ্দ করেছে। উল্লেখ্য, গোটা যুক্তরাজ্যে আনুমানিক ৭২ হাজার ৮০০ জন যৌন কর্মী রয়েছে, যাদের মধ্যে প্রায় ৩২ হাজারই লন্ডনে রয়েছে বলে ধারনা করা হয়।