স্কাইপের বিয়েতে বাঁধা নেই স্বামী-স্ত্রী ব্রিটেনে আনতে
মুনজের আহমদ চৌধুরী: ব্রিট্রিশ নাগরিক এবং ব্রিটেনে বৈধভাবে বসবাসকারী কোন ব্যাক্তি স্কাইপ বা ভিডিও কলের মাধ্যমে বিয়ে করে বাংলাদেশসহ অন্য যেকোন দেশ থেকে স্বামী-স্ত্রী বা স্পাউস ব্রিটেনে আনার আবেদন করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে যে দেশের নাগরিকের সাথে তিনি বিয়েতে আবদ্ধ হচ্ছেন সেই দেশটিতে টেলিফোন, ভিডিও কলের মাধ্যমে বিয়ের আইনগত বৈধতা থাকতে হবে। অর্থাৎ, কোন বৃটিশ নাগরিক যদি বাংলাদেশের কোন বর বা কনেকে স্কাইপের মাধ্যমে বিয়ে করে এদেশে নিয়ে আসতে চান সেক্ষেত্রে আইনগত কোন বাধা নেই। কেননা এধরনের বিয়ের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের মুসলিম ম্যারেজ এ্যাক্ট অনুসারে বৈধভাবে বিয়ের রেজিষ্ট্রি কাবিন সম্ভব। এই ধরনের বিয়ের ক্ষেত্রে যে দেশে বিয়েটি রেজিষ্ট্রিকৃত হবে সংশ্লিষ্ট সেই দেশটিতে স্কাইপ বা টেলিফোনে বিয়ে আইনসিদ্ধ হতে হবে। এরপর ঐ ম্যারেজ সার্টিফিকেটের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট আবেদনকারী যথাযথ প্রক্রিয়ায় ব্রিটেনের ভিসার আবেদন করতে পারবেন। উল্লেখ্য,বর্তমানে ব্রিট্রিশ নাগরিকরা ছাড়াও ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় কাজ করতে আসা এবং ষ্টুডেন্ট ভিসায় আসা শিক্ষার্থীরাও তাদের স্বামী-স্ত্রী বা স্পাউসকে এদেশে নিয়ে আসছেন। আর এসব আবেদনকারীদের অনেকেই নিজেদের বিয়ের বৈধতা প্রমানে ফোন বা স্কাইপে বিয়ের ক্ষেত্রে বৈধ ম্যারেজ সার্টিফিকেট সংযুক্ত করছেন আবেদনের সাথে। অনেকেই নানা কারনে দেশে গিয়ে বিয়ের পিঁড়িতে না বসতে পারায় শেষ পর্যন্ত স্কাইপেই বাধঁছেন গাটছড়া।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইষ্ট লন্ডনের হ্যামলেটস সলিসিটরের প্রিন্সিপাল, বিশিষ্ট আইনজীবি সলিসিটর বিপ্লব পোদ্দার ব্রিট্রেনের এসাইলাম এন্ড ইমিগ্রেশন ট্রাইবুনালের সিনিওর ইমিগ্রেশন জজ এ্যালানের একটি মামলার উদাহরন টেনে বলেন, যে দেশে বিয়েটি সম্পন্ন হবে সে দেশের আইনে যদি বাধাঁ না থাকে, এবং আইন যদি বৈধতা দেয় তবে স্কাইপের বিয়ে ব্রিটেনের ভিসা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে কোন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে না বলেই আমাদের প্রত্যাশা। তিনি আরো বলেন, ঐ মামলায় ব্রাজিলিয়ান সিভিল কোডের ১৯১৬ (আর্টিকেল ২০১) এবং ২০০২ সালের সিভিল কোডের আর্টিকেল ১৫৭২ এ এ ধরনের একটি বিয়েকে আইনত স্বীকৃতি দেয়ায় পরে তা ব্রিটেনের আদালতেও স্বীকৃত হয়।