স্যার মো ফারাহ’র ভাইকে ব্রিটেন থেকে বহিষ্কার
এমএফএ জামান: বিশ্ববিখ্যাত আ্যথলেট স্যার মোহাম্মদ ফরাহ’র ছোট ভাই ৩০ বয়ষ্ক আহমেদ ফারাহ কে অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে ব্রিটেন থেকে বহিষ্কার করেছে হোম অফিস। নাইফ ক্রাইমে জড়িত থাকার অপরাধে ২০১০ সালে আহমেদ ফারাহকে আদালত সাড়ে চার বছরের সাজা প্রদান করে। তিনি ব্রিটিশ নাগরিক না হওয়ায় হোম অফিস তার কাগজপত্র জব্দ করে। তবে আহমেদ হোম অফিসের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন। কিন্তু ২০১৬ সালের আগষ্ট মাসে হোম অফিস তার আপিল খারিজ করে এবং ৪০০০ মাইল দূর তার জন্মভূমি সোমালিতে ফেরৎ পাঠায়।
মো ফারাহ’র ভাই আহমেদ ফারাহ বলেন, বিগত করেক বছর যাবৎ হাজার মাইল দূরে আজ আমি আমার মা-বাবা, পরিবার থেকে সোমালিতে নি:স অবস্থায় বেচে আছি। এখানকার পরিবেশের সাথে মানিয়ে নিতে আমার খুবই কষ্ট হচ্ছে। এখন সোমালিতে আসার পর কয়েকদিন হোটেলে ছিলাম। কিন্তু আর্থিক দন্যতার কারণে আজ আমি বিভিন্ন জায়গায় রাত যাপন করি। আমার নিজের স্থায়ী কোন বাসস্থান নাই। আমি খুবই বড় অপরাধ করেছি এবং তার জন্য জেল খেটেছি। কিন্তু জেল থেকে বের হওয়ার পর আমাকে ভালো হওয়ার সুযোগটুকু দেওয়া হয়নি। বরং দ্বিতীয় শাস্তি হিসেবে আমাকে ব্রিটেন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে যা দু:খজনক। আমি আমার অতীত থেকে শিক্ষা নিতে চেয়েছিলাম। আমার বড় ভাই মো ফারাাহ কে নিয়ে আমি গর্বিত। তবে মোহাম্মদ ফারাহ এর প্রতিনিধির পক্ষ থেকে তার ভাই সম্পর্কে কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
হোম অফিস এ সম্পর্কে বলেছে, আহমেদ ফারাহ এর বিতাড়ন হওয়ার প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হয়েছিল কারণ- সে আইনি চ্যালেঞ্জ এর মাধ্যমে ব্রিটেনে থাকতে চেয়েছিল। যেহতেু সে জন্মগত ভাবে সোমালি নাগরিক তাই ব্রিটেনে একজন বিদেশী নাগরিক হিসেবে গুরুতর অপরাধে জড়িত থাকার কারণে তাকে এখান থেকে ফেরৎ পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১০ সাল থেকে হোম অফিস প্রায় ৫০,০০০বিদেশী নাগরিককে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত থাকার দায়ে ব্রিটেন থেকে বহিষ্কার করেছে এবং এটি অব্যাহত আছে।
সোমালিতে জন্ম নেয়া আহমেদ ফারাহ মাত্র ৩বছর বয়সে ১৯৯১ সালে যুদ্ধবিদ্ধস্ত সোমালি থেকে তাদের বাবা মুক্তারের সাথে ব্রিটেন আসেন শরণার্থী হিসেবে। তখন মোহাম্মদ ফারাহ এর বয়স ছিল ৮বছর। মো ফারাহ হিসেবে পরিচিত মোহাম্মদ ফারাহ ইংল্যান্ডের পক্ষে অলিম্পিকে রেকর্ড সংখ্যক স্বর্ণ পদক অর্জন করেন। তার এই বিশেষ অর্জনের জন্য রাণী এলিজাবেথ তাকে নাইটহুড উপাধিতে ভূষিত করেন।