উ. কোরিয়াকে ঠেকাতে দক্ষিণের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের চুক্তি
উত্তর কোরিয়াকে পারমাণবিক ও গণবিধ্বংসী অস্ত্র ব্যবহার থেকে বিরত রাখতে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে এক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে যুক্তরাষ্ট্র। চুক্তিকারী দেশ দুটির প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা আজ বুধবার বলেন, উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের লাগাতার হুমকির জবাবে এ নতুন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
রয়টার্স বলছে, এ উপলক্ষে আজ দুই দেশ এক যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করেছে। তাতে বলা হয়, কোরীয় উপদ্বীপে মোতায়েন করা মার্কিন সেনাবাহিনীর কর্তৃত্ব দক্ষিণ কোরিয়ার হাতে সঁপে দেওয়ার জন্য পূর্বনির্ধারিত সময়সীমা পুনর্নির্ধারণেও সম্মত হয়েছে দুই দেশ।
২০১৫ সালের ডিসেম্বরে সেনাবাহিনীর কর্তৃত্ব পরিবর্তন হওয়ার কথা রয়েছে। তবে তা পিছিয়ে দেওয়ার জন্য খোদ দক্ষিণ কোরিয়ার ভেতর থেকেই চাপ রয়েছে। উত্তর কোরিয়া যত বেশি করে তার অস্ত্রের ঝনঝনানি দেখাচ্ছে, মার্কিন বাহিনীকেও দক্ষিণ কোরিয়ায় রেখে দেওয়ার পক্ষে জনমত তত বাড়ছে।
চুক্তি উপলক্ষে দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিম কোয়ান-জিন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী চাক হেগেল এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন। সেখানে চাক হেগেল বলেন, ‘উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক ও আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি, অস্ত্র নির্মাণ কার্যক্রমের বিস্তার ও রাসায়নিক অস্ত্র তৈরি এখন মূল উদ্বেগের বিষয়।’
হেগেল আরও বলেন, ‘উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক ও অন্যান্য গণবিধ্বংসী অস্ত্রের হামলা থেকে বাঁচতে আজ এ দ্বিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষরিত হলো।’
দক্ষিণ কোরিয়ার গণমাধ্যমগুলোতে বলা হচ্ছে, নতুন চুক্তি অনুযায়ী দক্ষিণ কোরিয়ার হাতে এমন ব্যবস্থা থাকবে, যাতে উত্তর কোরিয়া হামলা করতে উদ্যত হলে দক্ষিণ কোরিয়া আগেভাগে ওই দেশটিতে হামলা চালাতে পারবে।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের একজন প্রবীণ প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা বলেন, আগেভাগে দক্ষিণ কোরিয়ার এই আক্রমণের বিষয়টি চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত নেই। তবে উত্তর কোরিয়াকে যুদ্ধ থেকে বিরত রাখার একটি কৌশল নির্ধারণ করা হয়েছে।
কোরীয় উপদ্বীপে মোতায়েন করা সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব হস্তান্তর নিয়ে আলাপ-আলোচনা শুরু হয় আজ থেকে প্রায় আট বছর আগে। সে সময় নির্ধারিত হয়েছিল যে, ২০১৫ সালে ক্ষমতা হস্তান্তর হবে। তবে তার আগে ২০১২ সাল হস্তান্তরের শেষ সীমা বলে নির্ধারিত ছিল।
হেগেল আজ তাঁর চার দিনের দক্ষিণ কোরিয়া সফর শেষ করছেন।