২০বছর পর শুরু হচ্ছে সাড়ে ৩বিলিয়নের ‘সিলভারটাউন কোয়েইজ’ প্রকল্পের কাজ

লন্ডনের রয়াল ডকস্ এলাকায় ৩দশমিক ৫ বিলিয়ন পাউন্ড ব্যয় সাপেক্ষ ‘সিলভারটাউন কোয়েইজ’ উন্নয়নের লোকজন নিউহ্যাম কাউন্সিলের অনুমোদন লাভ করেছেন। তারা জানিয়েছেন, প্রকল্পটির কাজ শুরু হবে ২০২১ সালের প্রথম দিকে। প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে প্রায় ১হাজার বাড়িঘর তৈরী করা হবে- যার ২০ শতাংশ হবে স্বল্প ব্যয় সাপেক্ষ এবং মিলেনিয়াম মিলস ল্যান্ডমার্ক ও একটি তালিকাভুক্ত ‘সাইলো ডি’ নামক ২০টি কংক্রিট শস্য গোদামসহ দীর্ঘ পরিত্যক্ত ইন্ডাষ্ট্রিয়াল বিল্ডিংসমূহের কাজ- যা পুনরায় ব্যবহারযোগ্য হবে।

এছাড়া ১৫০০ পর্যন্ত লোকের অনুষ্ঠান সম্পাদনের উপযুক্ত ‘মিলস স্কোয়ার’ নামক একটি পাবলিক স্পেস এবং ডক ব্যাপী একটি নতুন পার্কও এতে অন্তর্ভুক্ত। সিলভারটাউন কোয়েইজ-এর নামকরন হয় উনবিংশ শতাব্দির মধ্যভাগে, আশির দশকে রয়াল ডকস্ যখন বন্ধ ছিলো, তখন থেকে এটা প্রায় পরিত্যক্ত। ভিক্টোরীয় শিল্পপতি স্টিফেন উইলিয়ামের নামে হয় এর নামকরণ।

এলাকায় প্রাণ চাঞ্চল্য ফিরিয়ে আনার জন্য আগের ব্লুপ্রিন্টসমূহে একটি দেড় বিলিয়ন পাউন্ডের পরিকল্পনা অন্তর্ভুক্ত, যার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে ‘বায়োটা’ নামক একটি বিশালাকায় একুরিয়াম, যা ২০০১ সালে প্রথম প্রস্তাবিত হয়। এছাড়া একটি পীস পার্ক ও ভারতের ইতিহাস প্রদর্শনকারী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের ও পরিকল্পনা রয়েছে, যার এসেছে ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রিয়ার গ্রæপ ‘ইসসেন’ থেকে।

চেলসফিল্ড ও ফাস্ট বেইল প্রোপার্টিকোম্পানীর সমন্বয়ে গঠিত কনসোর্টিয়াম সিলভারটাউন পার্টনারশীপ এবং এর বিনিয়োগকারী ম্যাককোয়ারি ক্যাপিটাল ২০১২ সালে গ্রেটার লন্ডন অথোরিটির নিকট থেকে জমি খরিদ করে। এটা একটি নতুন কর্পোরেট পার্ক অব প্যাভেলিয়নস এর জন্য তার নিজস্ব পরিকল্পনা প্রণয়ন করে যাতে প্রদর্শন করা হয় বৈশ্বিক প্রধান ব্রান্ডসমূহ, যা ২০১৫ সালে প্লানিং পারমিশন অর্জন করে। স্কীমটি বর্তমান মালিকগণ-অস্ট্রেলীয় প্রোপার্টি জায়ান্ট ‘লেন্ডলীজ’ এবং ইউএস বিনিয়োগকারী ‘স্টারউড ক্যাপিটাল’-এর নিকট বিক্রি করা হয়।

ল্যান্ডলীজ এর প্রকল্প পরিচালক গ্রাহাম স্টার্ক বলেন, ‘আসলেই আমরা রয়াল ডকস্ এর কেন্দ্রস্থলে ৬৩ একরের এই ঐতিহাসিক ওয়াটার ফ্রন্টে লন্ডনের একটি নতুন অংশ গঠন ও প্রদানের লক্ষ্যে কাজ করছি।’

‘সিলভারটাউন কোয়েইজ-এর প্রথম দফার একটি অংশ হিসেবে আইকনিক ‘মিলেনিয়াম মিলস’ বিল্ডিংয়ের প্রাণচাঞ্চল্য ফিরিয়ে আনা একটি দরুন অভিজ্ঞতার বিষয়। ১৫ বছর মেয়াদী এই স্কীমে ২০ হাজার লোকের কর্ম সংস্থান হবে, এটা এ মুহূর্তে ঠিক ২০০ শ্রমিককে সহায়তা দিচ্ছে। পর্যায়ক্রমে এটা ৭ মিলিয়ন বর্গফুট আবাসিক ও বানিজ্যিক পরিসর সৃষ্টি করবে।

মিলেনিয়াম মিলস ও ভবনসমূহের সংলগ্ন এলাকা প্যাড্ডিংটন-২, টেরি গিলিয়ামের ব্রাজিল, ডেরেক জারম্যানের দ্য লাস্ট অব ইংল্যান্ড এবং ড্রামা সিরিজ অ্যাশেজ টু অ্যাশেজসহ অনেকগুলো মুভি ও টিভি শো’র সেটিং হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button