বিপুল অর্থে কেনা ব্রিটিশ পুলিশের ‘গ্রীন কার’ গুলো ধীরগতি সম্পন্ন

ব্রিটেনে কালো ধোঁয়া নির্গমন বন্ধের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে পুলিশ বাহিনী কমপক্ষে ৪৪৮টি গ্রীন যান অর্থাৎ পরিবেশ বান্ধব গাড়ি ক্রয় করেছে। তবে এ ক্ষেত্রে একটি ছোট্ট সমস্যা রয়েছে, তা ইচ্ছে দুর্বৃত্তদের তাড়া করতে কিংবা সংকট কালে লোকজনকে উদ্ধারের ক্ষেত্রে এসব গ্রীন যান বা পরিবেশ বান্ধব গাড়িগুলো খুব ভালো নয়।

প্রকৃতপক্ষে ১দশমিক ৪৯ মিলিয়ন পাউন্ডে কেনা সবক’টি গাড়ি স্বাভাবিক সময়ে এবং বসদের ভ্রমণের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। অফিশিয়েল পুলিশ রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, এসব গাড়ির ব্যাটারী চার্জ দিয়ে একটি দ্রæতগতির অভিযানের জন্য তাৎক্ষনিকভাবে প্রস্তুত করতে অনেক সময় লেগে যায়। তারা আরো বলেন যে, এগুলোয় জ্বালানী ফুরিয়ে যাওয়ার ঝুঁকিও বিদ্যমান।

ইউকে’র ৪৬ এর ফ্রিডম অব ইনফরমেন অ্যাক্ট-৩০ এর অধীনে প্রাপ্ত সংখ্যা অনুসারে, পুলিশ বাহিনী ৪৪৮টি গ্রীন যানবাহন ক্রয় করেন বা লীজ নেন। তারা এজন্য কী পরিমান অর্থ ব্যয় করেছেন, তা প্রকাশ করতে নারাজ অনেকগুলো কর্তৃপক্ষ। তবে মোট অর্থের পরিমান সম্ভবত: ১ দশমিক ৪৯ মিলিয়ন পাউন্ডেরও বেশী।

টরি ব্যাক বেঞ্চার ও সাবেক বিশেষ কনস্টেবল ডেভিড ডেভিজ এই উদঘাটনে সন্তুষ্ট নন। তিনি বলেন, পুলিশ বসদের অন্তত: কিছুটা সাধারণ জ্ঞানবুদ্ধি প্রদর্শন করা দরকার। যখন একটি জরুরী কল আসে, তখন আমি একটি পুলিশ কারে থেকেছি অনেকগুলো ঘটনায়। কেউ আগেভাগে বুঝতে পারবেন না কী ঘটতে যাচ্ছে, এবং তাই তাদেরকে ইলেক্ট্রিক কার ব্যবহারের ক্ষেত্রে অত্যন্ত সতর্ক হতে হবে।

কেন্ট পুলিশ ও স্টামফোর্ড পুলিশসহ অনেকগুলো পুলিশ বাহিনীর অফিশিয়েল রিপোর্টে একথা স্বীকার করা হয়েছে যে, ইলেক্ট্রিক গাড়িগুলো চার্জ নিতে দীর্ঘ সময় লাগে এবং একটি পশ্চাদ্ধাবনের ক্ষেত্রে আভিযানিক আবশ্যকীয়তার জন্য যথেষ্টভাবে সজ্জিত নয় এগুলো। টেমস্ভ্যালী পুলিশ জানায়, অনেকগুলো গাড়ির ‘ডে রানিং লাইটস’ পর্যবেক্ষণ অভিযানসমূহে সমস্যার কারণ হতে পারে। ডেভন ও কর্ণওয়েল পুলিশ পুল কার হিসেবে ব্যবহৃত ৪টি গ্রীন ভেহিকলস্ বা পরিবেশবান্ধব গাড়ি ক্রয়ে ৮০ হাজার পাউন্ড ব্যয় করেছে। ডেইলী মেইল এ তথ্য জানিয়েছে।

বর্তমানে মেট্রোপলিটন পুলিশের ১৩৪টি পরিবেশ বান্ধব গাড়ি রয়েছে এবং তারা ২০৫০ সাল নাগাদ সম্পূর্ণ পরিবেশ বান্ধব গাড়ি বহর গড়ে তুলতে চায়, যখন ব্রিটিশ সরকার এ সময়ের মধ্যে সমগ্র যুক্তরাজ্যকে কার্বনমুক্ত করতে আগ্রহী। কিন্তু আপাতত: পুলিশ বাহিনীর দ্রæতগতির পশ্চাদ্ধাবনের ক্ষেত্রে অধিকসংখ্যক ডিজেল গাড়ি রয়েছে, তাদের চাহিদা মেটাতে ইলেক্ট্রিক কারগুলো যথেষ্ট উপযোগী নয় বলে তারা স্বীকার করেন। পুলিশ ফেডারেশন-এর মুখপাত্র টিম বজার্স বলেন, ‘ব্যাটারীর চার্জ ফুরিয়ে যাবে এজন্য অফিসারেরা তাদের কাছে পৌছঁতে পারবেন না, এ নিয়ে জনগনের উদ্বেগের কিছু নেই। তারা এখনো অন্যান্য গাড়ি ব্যবহারে সক্ষম।’

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button