শাহজালাল বিমানবন্দরের ৩য় টামির্নাল নির্মাণ কাজের উদ্বোধন

দেখতে হবে পদ্মফুলের মতো, নির্মাণে সময় লাগবে ৪ বছর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ শনিবার ২১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেছেন। টার্মিনালটির নির্মাণকাজ শেষ হতে সময় লাগবে ৪ বছর। নতুন এই টার্মিনাল দেখতে হবে পদ্মফুলের মতো। টার্মিনালের মূল ভবনের কলাম, সিলিংসহ বিভিন্ন স্থানের ডিজাইনেও পদ্মফুলের নকশা থাকবে। তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণে অর্থায়নের মধ্যে সরকারি কোষাগার থেকে পাওয়া যাবে পাঁচ হাজার কোটি টাকা এবং বাকি অর্থ আসবে জাপানের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা) থেকে। জাপানের মিটসুবিশি এবং ফুজিতা ও কোরিয়ার স্যামসং একটি কনসোর্টিয়াম হিসেবে এর নির্মাণ কাজটি করবে। ঢাকা বিমানবন্দরে বর্তমানে দুটি টার্মিানালে (টার্মিনাল-১ ও টার্মিনাল-২) যেখানে ১০ লাখ বর্গফুটের মতো ‘স্পেস’ রয়েছে, সেখানে নির্মাণাধীন তৃতীয় টার্মিনালের ‘স্পেস’ হবে ২২ দশমিক ৫ লাখ বর্গফুট।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের এ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বিমানবন্দরের বর্তমান যাত্রী ধারণ ক্ষমতা ৮০ লাখ থেকে বেড়ে ২ কোটি হবে এবং কার্গোর ধারণ ক্ষমতা বর্তমান দুই লাখ টন থেকে বেড়ে পাঁচ লাখ টন হবে। এর ফলে, একক নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে মনিটরের মাধ্যমে নতুন টার্মিনালটির সকল কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা সম্ভব হবে।

২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (একনেক) বৈঠকে প্রথমে ১৩ হাজার ৬১০ দশমিক ৪৭ কোটি টাকার এ প্রকল্পটি অনুমোদন দেয়া হয়। পরবর্তীতে একটি পৃথক আমদানি-রপ্তানি কার্গো হাউজ স্থাপন ও নতুন ‍ভিভিআইপি টার্মিনাল প্রকল্প কাজের কিছু অংশ বর্ধিত করায় মোট প্রকল্প ব্যয় বেড়ে ২১ হাজার ৩শ’ কোটি টাকা হয়েছে।

প্রকল্পের বাড়তি বরাদ্দের প্রস্তাব গত ১০ ডিসেম্বরের একনেক সভায় অনুমোদন দেয়া হয়। আগামী চার বছরের মধ্যে এ টার্মিনালের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সিপিজি করপোরেশন (প্রাইভেট) লিমিটেড সিঙ্গাপুরের রোহানী বাহারিনের নকশায় তিন তলা বিশিষ্ট তৃতীয় টার্মিনালের ২ লাখ ৩০ হাজার বর্গ মিটার স্পেস থাকবে। ইউএনবি

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button