লাখো মুসল্লীর উপস্থিতিতে তাফাজ্জুল হক হবিগঞ্জীর জানাযা সম্পন্ন
লাখো আলেম-উলামা, তৌহিদী জনতার উপস্থিতিতে উপমহাদেশের প্রখ্যাত হাদীস বিশারদ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সিনিয়র সহ-সভাপতি শায়খুল হাদীস আল্লামা তাফাজ্জুল হক হবিগঞ্জী (র:) এর জানাযা সম্পন্ন হয়েছে। আজ সোমবার (৬ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সময় সকাল ১০ ঘটিকায় উমেদ নগর জামেয়া ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়। জানাযায় ইমামতি করেন মরহুমের বড় ছেলে হাফিজ মাওলানা মাসরুর আহমদ। গতকাল রোববার বাদ আসর তাঁর ইন্তেকালের সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে সিলেট বিভাগসহ দেশ-বিদেশে অবস্থানরত আলেম উলামা লাখো ভক্তমুরিদানের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। তখন থেকেই শোকার্ত জনতার ঢল নামে হবিগঞ্জ অভিমুখে। ফজরের পরপরই উমেদ নগর জামেয়া প্রাঙ্গণ ভরপুর। সকাল ১০ টার আগেই খোয়াইনদীর তীরে জনস্রোত, মাঠ-ঘাট ছাড়িয়ে বাজারের অলি গলিতে মুসল্লী-ভক্তদের ভীড়। সকলের প্রিয় “মুহাদ্দীস সাব হুজুর” কে শেষ বিদায় জানাতে অশ্রুসিক্ত নয়নে। পরে তার কর্মময় জীবেনের শেষ ঠিকানা জামেয়া উমেদ নগরস্থ মসজিদের মেহরাবের অদূরেই তাঁকে অন্তিম শয়ানে সমাহিত করা হয়।
শায়খুল হাদীস আল্লামা হাফেজ তাফাজ্জুল হক মুহাদ্দিসে হবিগঞ্জী (র:) এর জানাযায় অংশ নিতে জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা ঢাকা সহ সিলেট বিভাগের বিভিন্ন মাদরাসায় আজকের পরীক্ষা স্থগিত ও সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। মরহুমের ছাত্রদের মধ্যে জমিয়ত মহাসচিব মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমী, মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী প্রমুখ রাতেই উমেদ নগর চলে আসেন। সদরে জমিয়ত খলিফায়ে মাদানী আল্লামা আব্দুল মোমিন শায়খে ইমামবাড়ী, বরুনার পীর খলিলুর রহমানসাহেব ছাড়াও বিভিন্ন মাদরাসার প্রধান, রাজনৈতিক সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ জানাযায় উপস্থিত ছিলেন।
বেফাকের চেয়ারম্যানের, আমিরে হেফাজত আল্লামা শাহ আহমদ শফী, মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী মরহুমের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। মৃত্যুকালে বরেণ্য এই আলেমের বয়স হয়েছিলো প্রায় ৮৫ বছর। তিনি ৫ ছেলে, ৪ মেয়েসহ হাজার হাজার ছাত্র, ভক্ত মুরিদান রেখে যান। তিনি খলিফায়ে মাদানী হযরত বদরুল আলম শায়খে রেঙ্গার খলিফা ছিলেন।