ট্রাম্পের যুদ্ধক্ষমতা হ্রাসের প্রস্তাব পাশ
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যাতে ইরানের বিরুদ্ধে নতুন করে কোনো সামরিক পদক্ষেপ নিতে না পারেন সেজন্য তার যুদ্ধ ক্ষমতা কমাতে দেশটির প্রতিনিধি পরিষদে প্রস্তাব পাশ হয়েছে। এর আগে গত ডিসেম্বর মাসে প্রতিনিধি পরিষদে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিশংসনের প্রস্তাব পাশ হয়েছিল।
কংগ্রেসের সম্মতি ছাড়া ইরানের বিরুদ্ধে মার্কিন সশস্ত্র বাহিনীকে ব্যবহারের ক্ষমতার অবসান ঘটাতে এই প্রস্তাবে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এখন এই প্রস্তাব সিনেটের অনুমোদন পেলেই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার যুদ্ধের নির্দেশ দেয়ার একচ্ছত্র ক্ষমতা হারাবেন। ট্রাম্পের যুদ্ধ-ক্ষমতা কমানোর বৃহস্পতিবারের এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছেন ২২৪ সদস্য, বিপক্ষে পড়েছে ১৯৪টি। এমন এক সময় এই প্রস্তাব পাশের ঘটনা ঘটেছে, যখন ইরানি জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে ড্রোন হামলা চালিয়ে হত্যার পর ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিতে পাল্টা প্রতিশোধমূলক হামলা চালিয়েছে তেহরান।
তবে, ট্রাম্প এরই মধ্যে ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক শক্তি ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা নেই বলে উত্তেজনা প্রশমনের সুরে কথা বললেও কংগ্রেসের ডেমোক্র্যাটরা সোলাইমানির ওপর হামলা এবং এর পেছনে ট্রাম্প প্রশাসন যে যুক্তি দেখিয়েছে তাতে সন্তুষ্ট নয়। সেকারণেই তারা এখন ট্রাম্পের যুদ্ধ-ক্ষমতার রাশ টেনে ধরার চেষ্টা করছে। ট্রাম্পের নির্দেশেই ইরাকের বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে ড্রোন হামলায় সোলাইমানি নিহত হয়েছিলেন।
তবে প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি বিবৃতিতে বলেছেন, ট্রাম্প প্রশাসন সোলাইমানিকে হত্যা করে আমাদের সেনা সদস্য, কূটনীতিক এবং অন্যান্যদেরকে বিপদে ফেলেছেন এবং ইরানের সঙ্গে মারাত্মক উত্তেজনার ঝুঁকি সৃষ্টি করেছেন। ফলে ওয়ার পাওয়ারস প্রস্তাবনা নিয়ে ভোটাভুটির ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, পরবর্তী আর কোনো সহিংসতা এড়াতে অবিলম্বে একটি কার্যকর এবং উত্তেজনা প্রশমনের কৌশল নিয়ে এগুনোর জন্য প্রশাসনকে অবশ্যই কংগ্রেসের সঙ্গে কাজ করে যেতে হবে।
পেলোসি আরও বলেন, প্রেসিডেন্টের কৌশল নিয়ে কংগ্রেসের কিছু সদস্য উদ্বিগ্ন। আর ‘ওয়ার পাওয়ারস অ্যাক্ট’ এর আওতায় প্রশাসন হামলার ব্যাপারে কংগ্রেসকে ঠিকমত কিছু অবহিতও করেনি।