ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রি বেন ওয়ালেস
‘আমেরিকার সাহায্য ছাড়াই ব্রিটেনকে ভবিষ্যৎ যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে’
ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রি বলেছেন, ট্রাম্পের ‘অনুমান’ বিনষ্ট করার পর ব্রিটেনকে অবশ্যই ভবিষ্যত যুদ্ধের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়াই প্রস্তুত থাকতে হবে। বেন ওয়ালেস বলেন, ইরান ও সিরিয়ায় মার্কিন রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্তের অর্থ ইউকে ‘নিজেদের সম্পদের বৈচিত্র্য আনতে হবে’। ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রি সতর্ক করেছেন যে যুক্তরাজ্য বর্তমানে আমেরিকান সেনাবাহিনীর উপর নির্ভরশীল।
বেন ওয়ালেস বলেন, যে সিরিয়া থেকে তার প্রত্যাহার এবং ইরানি জেনারেল কাসেম সোলাইমানির হত্যাসহ মধ্যপ্রাচ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্পের অপ্রত্যাশিত পদক্ষেপ ঐতিহাসিক নজিরগুলিকে ব্যাহত করেছে। তিনি বলেন, ‘‘২০১০ সালের অনুমান অনুযায়ি আমরা যে সবসময় মার্কিন জোটের অংশ হতে চলেছি, সত্যিটা ঠিক তেমন নয় যেখানে আমরা থাকব। আমরা আমেরিকান এয়ার কভার এবং আমেরিকান বুদ্ধিমত্তা, নজরদারি এবং পুনরুদ্ধার সম্পদের উপর খুব নির্ভরশীল। আমাদের সম্পদের বৈচিত্র্য আনতে হবে…আমাদের এমন সিদ্ধান্ত নিতে হবে যা আমাদের মিত্রবাহিনীর একটি অংশের সাথে দাঁড়াতে দেয়।’’
এই সতর্কতা এলো যখন বরিস জনসন শীতল যুদ্ধের সময় থেকে ব্রিটেনের সুরক্ষা, প্রতিরক্ষা এবং বিদেশী নীতির ‘‘গভীর পর্যালোচনা’’ হিসাবে বিল করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরানের মধ্যে তীব্রতা বৃদ্ধির মূল মুহুর্তগুলিতে প্রধানমন্ত্রী তার অনুপস্থিতির জন্য সমালোচিত হয়েছেন।
সুরক্ষা মন্ত্রী ব্র্যান্ডন লুইস বলেন, বরিস জনসন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে ‘‘পুরো পরিস্থিতিটির প্রকোপহ্রাস’’ করার জন্য কাজ করছেন।
মিঃ ট্রাম্প সোলায়মানির মৃত্যুর আদেশ দিয়ে দায়িত্বশীলতার সাথে কাজ করেছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন যে ‘‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে নিজেকে রক্ষা একেবারেই সঠিক। আমেরিকা এটি করার সঠিক উপায় সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং আমাদের এটি সম্মান করতে হবে। আমেরিকা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করলেও আমরা ইউরোপ ও বিশ্বের অন্যান্য স্থানের অংশীদারদের সাথেও কাজ করি।’’