তুরস্কের ইতিহাসে সর্বোচ্চ
২০১৯ সালে তুরস্কের রফতানি বেড়েছে ২%
২০১৯ সালে তুরস্কের সার্বিক রফতানি ২ শতাংশ বেড়ে ১৮ হাজার ৪৭ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে, যা তুরস্কের ইতিহাসের সর্বোচ্চ। গত বছর গাড়ি খাতে তুরস্কের সর্বোচ্চ রফতানি হয়েছে। ২০১৯ সালে এ খাতে রফতানি হয়েছে ৩ হাজার ৬০ কোটি ডলারের পণ্য। দেশটির সর্বোচ্চ রফতানিকারক শহর ছিল ইস্তাম্বুল। টার্কিশ এক্সপোর্টার্স অ্যাসেম্বলি (টিআইএম) উপাত্তের ভিত্তিতে এ তথ্য প্রকাশ করেছে তুরস্কের রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু। প্রধান খাতের পারফরম্যান্স বিবেচনায় শিল্প খাত সবচেয়ে চাঙ্গা ছিল এবং এ খাতে রফতানি ১৩ হাজার ৮২৫ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। কৃষি ও মাইনিং খাতে রফতানি হয়েছে যথাক্রমে ২ হাজার ৩৩৯ কোটি ও ৪৩১ কোটি ডলারের পণ্য।
তুরস্কের রফতানির রুট ২০০ দেশ ও মুক্ত অঞ্চল ছাড়িয়েছে। সর্বোচ্চ রফতানি হয়েছে জার্মানিতে, যেখানে ১ হাজার ৪৯৬ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছে। জার্মানির পর সর্বোচ্চ রফতানি হওয়া দেশগুলো হচ্ছে যুক্তরাজ্য (১ হাজার ৭৫ কোটি ডলার), ইতালি (৯৪৬ কোটি ডলার), যুক্তরাষ্ট্র (৭৮৯ কোটি ডলার) ও স্পেন (৭৭০ কোটি ডলার)। ২০১৯ সালে এ দেশগুলোয় রফতানির পরিমাণ তুরস্কের মোট রফতানির ৩০ দশমিক ৪৪ শতাংশ। রফতানি সর্বোচ্চ বেড়েছে ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জে, যেখানে বছরওয়ারি রফতানি বেড়েছে ৪৮১১ দশমিক ৮০ শতাংশ। তার পরই রয়েছে বাহামা (২৬৮৭ দশমিক ৫০ শতাংশ) ও ম্যাকাও (১৬৯৩ দশমিক ৩০ শতাংশ)।
গত বছর ইস্তাম্বুল ছিল তুরস্কের সবচেয়ে বড় রফতানিকারক শহর, যা ৭ হাজার ১০ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি করেছে। অন্যান্য প্রধান রফতানিকারক শহরগুলো হচ্ছে: শিল্প প্রদেশ কোকায়েলি (১ হাজার ৫২৪ কোটি ডলার), বুরসা (১ হাজার ৪৯৯ কোটি ডলার) এজিয়ান তীরবর্তী শহর ইজমির (৯৭৭ কোটি ডলার) ও আঙ্কারা (৮৩০ কোটি ডলার)। ২০১৯ সালে গাড়ি শিল্পে রফতানি ৩ দশমিক ১০ শতাংশ হ্রাস পেয়ে ৩ হাজার ৬০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) ৭৬ দশমিক ৫০ শতাংশ গাড়ি রফতানি করেছে তুরস্ক। বৈশ্বিক গাড়ি শিল্প জায়ান্ট ফিয়াট, রেনোঁ. হুন্দাই, ফোর্ড, মার্সিডিজসহ বিএমসি, কারসান, টেমসার মতো দেশীয় গাড়ি কোম্পানিগুলোও তুরস্ক থেকে বিভিন্ন প্রকারের গাড়ি রফতানি করছে।
২ হাজার ৫৭ কোটি ডলারের রফতানি নিয়ে দ্বিতীয় ছিল রাসায়নিক ও রাসায়নিক পণ্য। এ খাতে বছরওয়ারি রফতানি বেড়েছে ১৮ দশমিক ৬০ শতাংশ। তুরস্ক মূলত ইউরোপীয়, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকান দেশগুলোয় সর্বোচ্চ রাসায়নিক রফতানি করেছে। গত বছর পোশাক খাতে রফতানি শূন্য দশমিক ৪০ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৭৭০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। তুরস্ক থেকে সর্বোচ্চ পোশাক রফতানি হয়েছে জার্মানি ও নেদারল্যান্ডসে। ইস্পাত রফতানি ১০ দশমিক ৬০ শতাংশ হ্রাস পেয়ে ১ হাজার ৩৮৬ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। ইস্পাত আমদানিতে যুক্তরাষ্ট্রের অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের ফলে তুরস্কের ইস্পাত রফতানি হ্রাস পেয়েছে। পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় কৃষিপণ্য রফতানি ৩ দশমিক ৪০ শতাংশ বেড়ে ২ হাজার ৩৩৯ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। তুরস্কের আসবাব, কাগজ ও কাঠজাত পণ্য রফতানি ১০ দশমিক ৩০ শতাংশ বেড়ে ৫৫৩ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। তাজা ফলমূল ও শাকসবজি রফতানি ২ দশমিক ৮০ শতাংশ বেড়ে ২২৬ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে।