নতুন বাড়ী নির্মাণে টাওয়ার হ্যামলেটস শীর্ষে

নতুন বাড়ী বানানোর ক্ষেত্রে লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটস গত বছর সারা দেশের মধ্যে শীর্ষ স্থান দখল করেছে। সম্প্রতি প্রকাশিত এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে অক্টোবর ২০১৮ থেকে অক্টোবর ২০১৯ সালের মধ্যে টাওয়ার হ্যামলেটসে মোট ৩ হাজার ৭শ ৮৫টি বাড়ী নির্মিত হয়েছে।

এব্যাপারে টাওয়ার হ্যামলেটসের নির্বাহী মেয়র জন বিগস তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, সুযোগ সুবিধা প্রদানের ক্ষেত্রে টাওয়ার হ্যামলেটস হচ্চেছ লন্ডনের মধ্যে অন্যতম সেরা এবং এজন্য মানুষ কাজ ও বসবাসের জন্য এখানে আসতে চায়। মেয়র বলেন, ২০১০ সালের পর আমাদের কোর বাজেট উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। ফলে নিউ হোম বোনাস আমাদের কাছে এখন অনেক গুরুত্বপূর্ন এবং এই প্রাপ্তি এখাতে আমাদের সফলতাকেই তুলে ধরছে। আমরা জানি যে, সরকার হয়তো ভবিষ্যতে নিউ হোম বোনাস ফান্ডিং ফর্মূলা রিভিউ করবে এবং আমরা আবার বঞ্চিত হতে পারি।

মেয়র আরো বলেন, বাড়ী বানানোর ক্ষেত্রে টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল তার নিজস্ব উদ্যোগও অব্যাহত রেখেছে এবং ২০২২ সালের মধ্যে আমরা ২ হাজার নতুন কাউন্সিল বাড়ী সরবরাহে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। নির্মানাধীন এসব বাড়ীর সবগুলোই হবে সাধারন বাসিন্দাদের সামর্থ্যরে মধ্যে এবং তা হাউজিং ওয়েটিং লিস্টে থাকা স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে বরাদ্দ দেয়া হবে।

মেয়র জানান, এই নির্মান অগ্রগতির জন্য কাউন্সিল কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে ২১.৯ মিলিয়ন পাউন্ড নিউ হোম বোনাস লাভ করবে। এই বরাদ্দ কাউন্সিলকে নতুন ডেভেলাপমেন্ট বিনিয়োগ করতে সহায়তা করবে। এছাড়া এর সাথে আগের বছরে অতিরিক্ত বরাদ্দকৃত ১৫.৩ মিলিয়ন পাউন্ড এসে যোগ হবে।

ডেপুটি মেয়র এবং প্ল্যানিং বিষয়ক কেবিনেট মেম্বার কাউন্সিলার র‌্যাচেল ব্ল্যাক নতুন এই পরিসংখ্যানকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, যে মুহুর্তে কাউন্সিল তার কোর ফান্ডিং হারাচ্ছে সেই মুহুর্তে নিউ হোম বোনাস প্রাপ্তির ঘোষনা অবশ্যই উৎসাহব্যাঞ্জক এবং সাহায্যকারী। টাওয়ার হ্যামলেটস সর্বোচ্চ পরিমানের নিউ হোম বোনাস পেয়ে আসছে। এটা আমাদের এই খাতে সফলতারই স্মারক।

তবে আমাদের এই চ্যালেঞ্জকেও মাথায় রাখতে হবে যাতে করে এসব ডেভেলাপমেন্ট স্থানীয় অন্যান্য রির্সোসে সমস্যার সৃষ্টি না করে। পুরাতন এবং নতুন ডেভেলাপামেন্টের জন্য বিভিন্ন অবকাঠামো সরবরাহ রাখতে হচ্ছে এবং ডেভেলপাররা যাতে এতে ন্যয়সঙ্গতভাবে অবদান রাখেন তা নিশ্চিত করতে হচ্ছে।

কাউন্সিলার র‌্যাচেল ব্ল্যাক জানান, ডেভেলপারদের কনট্রিবিউশনে ইতিপূর্বে পার্কের উন্নয়ন, নতুন সাইকেল লেইন নির্মান, তরুনদের জন্য খালি জায়গা বরাদ্দ এবং ট্র্যাডিশনাল মার্কেটগুলোর উন্নয়নে ব্যয় করা হয়েছে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button