গ্রামীণ ব্যাংক আইন অনুমোদন
গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ন্ত্রণে সরকারকে ক্ষমতা দিয়ে গ্রামীণ ব্যাংক আইন, ২০১৩-এর প্রস্তাবিত খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। আজ মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। যদিও প্রথম দিকে গ্রামীণ ব্যাংক কমিশনের চূড়ান্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর আইনটি চূড়ান্ত করার পরিকল্পনা ছিল সরকারের। গতকাল পর্যন্ত কমিশন তাদের রিপোর্ট জমা দেয়নি। তবে অর্থমন্ত্রী কমিশন চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে কিছু সুপারিশ আইনের খসড়ায় অন্তর্ভুক্ত করেছেন বলে জানা গেছে। নতুন গ্রামীণ ব্যাংক আইন অনুমোদন হওয়ায় গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনে ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ প্রয়োগ করতে পারবে। অর্থাৎ কেন্দ্রীয় ব্যাংক দেশের প্রচলিত ব্যাংকগুলোকে যেভাবে নিয়ন্ত্রণ করে, তার সবকিছুই করতে পারবে। এছাড়া জবাবদিহিতার বিষয়টি নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে বার্ষিক প্রতিবেদনও দাখিল করতে হবে গ্রামীণ ব্যাংককে। প্রয়োজন অনুযায়ী মাসিক বা ত্রৈমাসিক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়ার ক্ষমতাও বাংলাদেশ ব্যাংককে দেয়া হচ্ছে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংককে এত ক্ষমতা দিলেও গ্রামীণ ব্যাংকের আইন সম্পর্কিত কার্যাবলি সরকার নিজের অধীনেই রেখে দিচ্ছে। অর্থাৎ নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক হলেও বিধিমালা, আইন সংশোধন বা সংযোজনের জন্য সরকারের দ্বারস্থ হতেই হবে। এ কাজটি আগে গ্রামীণ ব্যাংকের বোর্ড করত। এখন থেকে এটি অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ করবে। এছাড়া গ্রামীণ ব্যাংক সম্পর্কিত স্পর্শকাতর কিছু বিষয়ে সরকারের কর্তৃত্ব বহাল রাখা হবে। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, গ্রামীণ ব্যাংক আইনের খসড়া চূড়ান্ত করতে গত দুই মাস অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, আইন মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বাংলাদেশ ব্যাংক, মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটিসহ (এমআরএ) সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, দপ্তর ও অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক হয়েছে।