সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী বিরুদ্ধে সাজানো রায় মঞ্চস্থ হয়েছে : য্ক্তুরাজ্য বিএনপি
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ৬ বারের সংসদ সদস্য সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে সাজানো রায় মঞ্চস্থ হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতৃবৃন্দ। সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী বিরুদ্ধে ফাঁসির রায়ের প্রতিবাদে এক সভা ৩ অক্টোবর বুধবার যুক্তরাজ্য বিএনপির অফিসে অনুষ্ঠিত হয়। যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি সাইস্তা চৌধুরী ক্দ্দুুছ এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কয়ছর এম আহমদ এর পরিচালনায় সভায় বক্তারা বলেন, রায় ঘোষনার আগেই ফাঁস হওয়া এ রায়ের মাধ্যমে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নির্মূল ও সুপরিকল্পিভাবে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংসের অপচেষ্টার প্রমান বহন করে। সভায় বক্তরা বলেন এ রায়ে সমগ্র বিশ্বকে বিস্মিত করেছে। এই ট্রাইব্যুনাল গঠন ও বিচারিক প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে এরই মধ্যে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। বিএনপি সব সময় স্বচ্ছ ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন বিচারের পক্ষে উল্লেখ করে তারা বলেন, বিচারের নামে সরকার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নির্মূলের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এই ট্রাইব্যুনাল গঠনের মধ্য দিয়ে বর্তমান সরকার যে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নির্মূল করার চেষ্টা চলছে তা স্কাইপ কেলেঙ্কারির পর সর্বশেষ সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর রায়ের পর আজ প্রশ্নাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। তারা বলেন, স্কাইপ কেলেঙ্কারি ও সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে রায়ের আগে ইন্টারনেটে রায় প্রকাশিত হওয়ায় এই রায় গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে। ইন্টারনেটের সূত্র উল্লেখ করে তারা বলেন, ২৩ মে আইন মন্ত্রণালয়ে এই রায় লেখা হয়েছে। এটি ন্যায়নীতিবর্জিত নজিরবিহীন ঘটনা। তারা বলেন, ‘আইন মন্ত্রণালয় থেকে যে রায়ের কপি অনলাইনে প্রকাশ হয়েছে তা স্বয়ং আইনমন্ত্রী নিজে স্বীকার করে তা তদন্তে কথা বলেছেন। আর ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা মনে করি সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী সুবিচার পাননি।
সভায় বক্তারা আরো বলেন, সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পক্ষে সাক্ষ্য দিতে দু’জন সাক্ষী উপস্থিত হতে চেয়েছিলেন। এর মধ্যে একজন বিচারপতি প্রধান বিচারপতির কাছে লিখিত অনুমতি চেয়েছিলেন। কিন্তু অনুমতি পাননি। অনেকে হলফনামা দিয়ে বলেছেন, সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী একাত্তর সালের ২৯ মার্চ বাংলাদেশ ত্যাগ করেন এবং ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত তিনি লন্ডনে ছিলেন। অথচ তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে তা ১৩ এপ্রিল থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত। কিন্তু ট্রাইব্যুনাল এসব আমলে নেননি। তাই তাকে মৃত্যুদন্ড দেয়ায় সারা জাতি বিস্মিত হয়েছে। সভায় বক্তারা অবিলম্বে এ রায় প্রত্যাহার ও সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুর কে অভিলম্বে মুক্তি দাবী করেন।
এসময় সভায় বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সহ সভাপতি আব্দুল হামিদ চৌধুরী, সহ সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, আলহাজ্ব তৈমুছ আলী, শাহ আক্তার হোসেন টুটুল, আক্তার হোসেন, তাজুল ইসলাম, গোলাম রাব্বানী, যুগ্ম সম্পাদক নাসিম আহমদ চৌধুরী, শহীদুল ইসলাম মামুন, শামসুর রহমান মাহতাব, তাহির রায়হান চৌধুরী পাভেল, জসিম উদ্দিন সেলিম, এডভোকেট খলিলুর রহমান, বিএনপি নেতা আবুল হোসেন, নাজমুল হোসেন জাহিদ, এস এম লিটন, আব্দুল বাছিত বাদশা, দেওয়ান আব্দুল বাছিত, দেলোয়ার হোসেন দিপু, হেভেন খাঁন, মাওলানা শামীম আহমদ প্রমুখ।