ব্রিটেনে অবৈধ ইমিগ্রেশন সার্ভিস পরিচালনার অপরাধে ১ জনের শাস্তি, জরিমানা
অবৈধ ‘ইমিগ্রেশন এডভাইস সার্ভিস’ অর্থাৎ অভিবাসন সংক্রান্ত পরামর্শ দানকারী প্রতিষ্ঠান পরিচালনার দায়ে হামিদ আলী মুসা জীবা নামক এক ব্যক্তিকে শাস্তি ও জরিমানা দন্ড প্রদান করেছে ব্রিটেনের একটি আদালত। ব্রিটেনের ইমিগ্রেশন সার্ভিসেজ কমিশনার আনীত মামলাটির শুনানী অনুষ্ঠিত হয় বোল্টন ক্রাউন কোর্টে। ডার্বি স্ট্রিট ভিত্তিক ভিসা এন্ড অ্যাপীল সার্ভিসেজ, ইউকে নামক প্রতিষ্ঠানের মালিক জীবা কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়েই লোকজনকে ইমিগ্রেশন সংক্রান্ত ও অন্যান্য বিষয়ে পরামর্শ দিচ্ছিলেন।
বোল্টনের ম্যূরল্যান্ডস ভিউয়ের বাসিন্দা ৩৬ বছর বয়সী জিবা বেশ কিছু সংখ্যক গ্রাহককে বেআইনীভাবে অভিবাসন ও অন্যান্য বিষয়ে পরামর্শ প্রদানের অভিযোগ স্বীকার করেন। এ ধরনের কাজের জন্য আইন অনুযায়ী ইমিগ্রেশন সার্ভিসেজ কমিশনারের অফিস থেকে অনুমতি নিতে হয়। তার বিরুদ্ধে আরো তিনটি অপরাধের বিষয় এখনো নথিভুক্ত হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। মূসা জীবাকে ১৮০ ঘন্টার বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করার দন্ডাদেশ এবং ৩৫০০ পাউন্ডেরও বেশী অর্থ ক্ষতিপূরণ ও খরচ হিসেবে প্রদানের আদেশ দেয়া দেওয়া হয়েছে।
দন্ডাদেশ প্রদান করে রেকর্ডার ফিয়োনা অ্যাশওয়ার্থ বলেন: এটা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে স্পষ্ট বিশ্বাসভঙ্গ। এটা ছিলো অপরাধীর দীর্ঘ সময়ব্যাপী একটি ধারাবাহিক আচরণ। তিনি সম্পূর্ণভাবে জানতেন যে এটা করার অনুমতি তার নেই, তিনি নিজেকে একজন অভিবাসন বিশেষজ্ঞ এবং অভিবাসন পরামর্শ প্রদানের যোগ্য ব্যক্তি হিসেবে ধরে নেন। শাস্তি প্রদানের ক্ষেত্রে রেকর্ডার অ্যাশওয়ার্থ আসামী মূসা জীবা কর্তৃক তার মক্কেলদের অবৈধ ও নিম্নমানের পরামর্শ দানের ক্ষতিকর বিষয়টি আমলে নেন। এগুলোর মধ্যে একজন মক্কেলের প্রতি বহিষ্কারের নোটিশ জারি এবং অপর মক্কেলের ক্ষেত্রে একটি নতুন আবেদন শুরুর জন্য তাকে তার নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার পরামর্শের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত।
শান্তির সিদ্ধান্ত সম্পর্কে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ইমিগ্রেশন সার্ভিসেজ কমিশনার মি: জন টাকেট বলেন: মি: জীবা আইনের বাইরে গিয়ে তার মক্কেলদের সুরক্ষার প্রতি শ্রদ্ধাবোধ প্রদর্শন ছাড়াই কার্য পরিচালনার পন্থা বেছে নেন, যা তাদেরকে সরাসরি সমস্যার মুখোমুখি করে, তখন থেকে যে সমস্যায় আছেন তারা। তিনি বলেন, এই মামলার ফলাফলে আমি আনন্দিত।