আতঙ্কে বিশ্ববাসী
মহামারি করোনা ভাইরাস: মূল উৎস সাপ, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩১
চীনে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩১ জনে দাঁড়িয়েছে। এই ভাইরাসে এখন পর্যন্ত হাজারেরও বেশী মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। শুক্রবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে চীন সরকার। চীনের উহান শহরেই করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। মূলত এই শহর থেকেই প্রথম করোনা ভাইরাস ছড়ায়। চীন থেকে প্রাণঘাতী ভাইরাস এখন বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড ও দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা গেছে। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের শরীরে প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে শ্বাসকষ্ট, জ্বর, সর্দি, কাশির মত সমস্যা দেখা দেয়।
করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পেলেও এখনো পর্যন্ত কোনো চিকিৎসা বের করতে পারেননি চিকিৎসকরা। তাই এটিকে প্রতিরোধের ওপরেই সর্বাত্মক জোর দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু কী করে এই রহস্যজনক ভাইরাস মানবদেহে আসে-তা নিয়ে গবেষণা চলছিল। সম্প্রতি একটি গবেষণায় উঠে আসে সাপ থেকেই নাকি এই ভাইরাসের উৎপত্তি।
গত ৩১ ডিসেম্বর এই ভাইরাসের বিষয়ে অবগত হয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এরপর থেকেই সতর্কতা জারি করেছে বিভিন্ন দেশে যাতে এই ভাইরাস ছড়িয়ে না পড়ে। উহান শহরের একটি সি ফুড মার্কেট থেকে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়েছে বলে ধারণা করা হয়। অনেক গবেষক বলছেন, সম্ভবত এই ভাইরাসটি সাপ থেকে এসেছে। জর্নাল অব মেডিকেল ভাইরোলজিতে একটি গবেষণা প্রকাশ করা হয়েছে, যাতে বলা হয়েছে, সাপের জিনগত বিশ্লেষণে দেখা যায় সাপের মধ্যেই করোনাভাইরাসটি থাকার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।
এই মারাত্মক ভাইরাসের কারণে এখন চিনের প্রতিটি মানুষই যেন ঘরের দরজায় মদূতের কড়া নাড়া শুনতে পাচ্ছেন। মানুষের নিঃশ্বাস প্রশ্বাসের সঙ্গেই ছড়িয়ে যাচ্ছে এই প্রাণঘাতী ভাইরাস। মানুষের সংস্পর্শেই সংক্রমিত হচ্ছে এই করোনা ভাইরাস । দীর্ঘ পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর নিশ্চিত করে জানিয়েছেন চিনের চিকিৎসকরা। তাই আর শুধু চিন নয়, করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে ভুগছেন গোটা বিশ্বের মানুষ।
এদিকে এখনই এই ভাইরাস নিয়ে বিশ্বব্যাপী জরুরী অবস্থা ঘোষণার পক্ষে না বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এই বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আদহানোম গ্রেবেইয়েসুস বলেন, এই ভাইরাসের জন্য চীনে জরুরী অবস্থা জারি করা হয়েছে।এটি নিয়ে এখনই বিশ্বে জরুরী অবস্থার ঘোষণার মত পরিস্থিতি হয়নি।