ক্রিপ্টোকারেন্সীর উন্নয়নে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড’র উদ্যোগ
ব্যাংক অব ইংল্যান্ড কেন্দ্রীয় ব্যাংক সমূহের সহায়তায় একটি ক্রিপ্টোকারেন্সী উন্নয়নের সম্ভাবনা নিরূপণের লক্ষ্যে একটি আন্তর্জাতিক গ্রুপ গঠন করেছে। এ ব্যাপারে ব্যাংক অব ইন্টারন্যাশনাল সেটেলমেন্টস (বিআইএস)-এর সাথে জাপান, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড ও ইউরোজোনের ব্যাংকগুলো যোগ দিয়েছে। গ্রুপটি এটা থেকে একটি বিটকয়েন ধরণের ডিজিটাল কারেন্সীর মতো অর্থনৈতিক ও টেকনিক্যাল ফায়দা লাভ করা যায় কিনা তা খতিয়ে দেখবে।
গত বছর ফেইসবুক ‘লিব্রা’ নামক একটি ক্রিপ্টোকারেন্সী চালুর ঘোষণা দিলে সেন্ট্রাল ব্যাংক ডিজিটাল কারেন্সীজ (সিবিডিসি)-এর ব্যাপারে বৈশ্বিক মনোযোগ তীব্রতর হয়। ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকও এক পর্যায়ে তার নিজের ডিজিটাল মুদ্রা সৃষ্টির আগ্রহ প্রকাশ করে। চীনও একটি রাষ্ট্র সমর্থিত ক্রিপ্টোকারেন্সী চালুর পরিবল্পনা নিয়ে অগ্রসর হয়েছে। গত মঙ্গলবার এক যুক্ত বিবৃতিতে ব্যাংক সমূহ জানায়, গ্রুপটি সীমান্তের বাইরে আন্তঃপরিচালনা যোগ্যতাসহ সিবিডিসি ব্যবহারের কেসসমূহ, অর্থনৈতিক কর্মকান্ড ও টেকনিক্যাল ডিজাইন বাছাইকরণ এবং উদীয়মান টেকনোলজীগুলোর বিষয়ে জ্ঞান আদান প্রদানের দিকগুলোর মূল্যায়ন করবে। ক্রিপ্টোকারেন্সী ইন্ডাষ্ট্রির ভেতরের পরিসংখ্যানগুলো এ ধরণের সংবাদকে স্বাগত জানাচ্ছে। তার দাবি হচ্ছে, এটা ঐসব নিয়ন্ত্রকসমূহের ইংগিত দিয়েছে যা শেষ পর্যন্ত ডিজিটাল কারেন্সী সমূহের সম্ভাবনাময় সুবিধাদির স্বীকৃতি দিচ্ছে। জনপ্রিয় ক্রিপ্টোকারেন্সী এক্সচেঞ্জ বিট ফ্লাইয়ার-এর সহ-প্রধান এন্ডি ব্রায়ান্ট বলেন, যখন প্রথম ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যাংক একটি সিবিডিসি ইস্যু করে, তখন এটা হবে অর্থের ইতিহাসে একটি বড়ো ধরণের মাইলস্টোন এবং বৈশ্বিক আর্থিক পদ্ধতির জন্য একটি টার্নিং পয়েন্ট। তিনি বলেন, এ পর্যায়ে এখনো আলোচনার অনেক কিছু রয়েছে। প্রতিটি নতুন সিবিডিসি’র জনপ্রিয় ডিজাইনের একটি মনিটারি পলিসি ইনস্ট্রুমেন্ট হিসেবে এর কার্যকারিতার ওপর গভীর চিহ্নসমূহ বিদ্যমান থাকবে।
লন্ডন ভিত্তিক ক্রিপ্টোকারেন্সী প্রতিষ্ঠান ‘লুরো’র সিইও মার্কাস সোয়েইনপিল এটাকে ‘অত্যন্ত ইতিবাচক’ বলে বর্ণনা করেছেন। তবে এটা একটি ধীরগতির পদ্ধতি হতে পারে বলে তিনি সতর্ক করেছেন। তিনি আরো বলেন, ‘তারা বুঝতে পারছেন ডিজিটাল মুদ্রায় স্থানান্তর রাতারাতি ঘটবে না। বছরের পর বছর ধরে অর্থ সব সময়ই পরিবর্তিত হয়ে আসছে এবং অধিকাংশ কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই মর্মে সম্মত হবেন যে বর্তমান আন্তর্জাতিক অর্থ পদ্ধতি এখন পুরোনো হয়ে গেছে’।