“ফ্রিডম অব দ্য সিটি অব লন্ডন” সম্মাননায় ভূষিত হলেন ব্যারিষ্টার নাজির আহমদ
আইনী ও কমিউনিটি সেবায় বিশেষ ও ব্যতিক্রমধর্মী অবদান রাখার জন্য বিশিষ্ট আইনজীবী নিউহ্যাম বারার দুই টার্মের নির্বাচিত ডেপুটি স্পীকার কাউন্সিলার ব্যারিস্টার নাজির আহমদকে “ফ্রিডম অব দ্য সিটি অব লন্ডন (ফ্রিম্যানশীপ) সম্মাননা দেয়া হয়। গত ২৮ জানুয়ারী মঙ্গলবার লন্ডনের গিল্ডহলের চেম্বারলেইনস কোর্ট রুমে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাঁকে এ সম্মাননা দেয়া হয়। অনুষ্টানে ব্যারিস্টার নাজির আহমদকে শপথ বাক্য পাঠ করিয়ে অভিনন্দন জানানো হয়।
“ফ্রিডম অব দ্য সিটি অব লন্ডন” সম্মাননা পাওয়ার পর এক প্রতিক্রিয়ায় ব্যারিস্টার নাজির আহমদ বলেন “আমি অত্যন্ত বিনয়ের সাথে এই প্রস্টিজিয়াস সম্মাননা গ্রহন করছি। এটি আমার কমিউনিটি ও নিউহ্যামের জনগনের জন্য উৎসর্গ করলাম। এই সম্মাননা কমিউনিটির জন্য আরও অধিক কাজ করতে আমাকে উৎসাহিত ও অনুপ্রানিত করবে।
বিলেত প্রবাসী ব্যারিষ্টার নাজির আহমদ বৃটেন তথা ইউরোপের সুপরিচিত মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও লব্দপ্রতিষ্টিত আইনজীবী। তিনি লন্ডন ইউনিভার্সিটির কুইনমেরী থেকে এলএলবি (অনার্স) ও একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলএম ডিগ্রী অর্জন করেন।পরে বিশ্বখ্যাত লিনকন্স ইন থেকে কৃতিত্বের সাথে বার-এট-ল ডিগ্রী লাভ করেন। তিনি বৃটেনের স্বনামধন্য চার্টার্ড ইনষ্টিটিউট অব্ আরবিট্রেটরস্ এর একজন “ফেলো”। তিনি কুইনমেরী ইউনিভার্সিটির এলোমনাই এমবেসেডর ও লন্ডন মেয়র অফিসের ইন্ডিপেন্ডেন্ট কাস্টডি ভিজিটর ছিলেন। ব্যারিষ্টার নাজির আহমদ শক্তিমান লেখক ও বিশ্লেষক। তিনি বাংলাদেশের একাধিক জাতীয় দৈনিকে সংবিধান, আইন ও সমসাময়িক বিষয়ের উপর লিখে থাকেন। এ পর্যন্ত তাঁর বাংলা ও ইংরেজীতে পাঁচটি বই বের হয়েছে। বিলেতে বাঙ্গালী কমিউনিটিতে অত্যন্ত জনপ্রিয় ও সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব ব্যারিষ্টার নাজির আহমদ কমিউনিটির স্বনামধন্য ও নামি-দামি তিন ডজনের অধিক সংগঠনগুলোর নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করে আলাদা এক অবস্থান ও আস্থার জায়গা তৈরী করে নিয়েছেন। বিভিন্ন প্রয়োজনে তিনি এ পর্যন্ত পৃথিবীর প্রায় পন্চাশটি দেশ সফর করেন।
সম্মাননা প্রদান অনুষ্টানে কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন লন্ডন এসেম্বলী মেম্বার উমেশ দেশাই এএম, ইউরোপিয়ান প্রবাসী বাংলাদেশী এসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও বিবিসিএ এর প্রতিষ্টাতা সেক্রেটারী জেনারেল শাহনুর আহমদ খাঁন, বিশিষ্ট সাংবাদিক সাপ্তাহিক দেশ সম্পাদক তাইসির মাহমুদ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী গোলাম কিবরিয়া, কমিউনিটি নেতা পারভেজ কোরেশী, বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিস্টার এম এ মূয়ীদ খাঁন, সলিসিটর আবু নাইয়ুম, একাউন্টেন্ট রাব্বির হাসাইন, লিগ্যাল এডভাইসার ওয়াহিদ আলী, লিগ্যাল কনসালটেন্ট জুবায়ের আলী প্রমুখ।
জানা যায়, ১২৩৭ সাল থেকে ফ্রিডম অব দ্য সিটি অব লন্ডন (ফ্রিম্যানশীপ) সম্মাননা চালু রয়েছে। স্ব স্ব ক্ষেত্রে সফল ব্যক্তিরা এ সম্মাননা পেয়েছেন। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে অনারারি ফ্রিডম অব দ্য সিটি অব লন্ডন সম্মাননা লাভ করেছেন সব নামি-দামি ব্যক্তিত্বরা। এদের মধ্যে অন্যতম ডিউক অব ক্যামব্রিজ প্রিন্স জর্জ ১৮৫৭ সালে এ সম্মান লাভ করেন। এছাড়া দক্ষিন আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট নেলসন ম্যান্ডেলা, বৃটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল, বেনজামিন ডিস্রাইলি ও মার্গারেট থ্যাচার, বৃটিশ রাজপরিবারের সদস্য প্রিন্সেস ডায়ানা, ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল, সাবেক জার্মান চ্যান্সেলর হেলমট কোহলসহ অনেকে।
অপরদিকে সদ্য বিদায় নেয়া বৃটিশ পার্লামেন্টের স্পিকার জন বারকো, বৃটিশ চ্যান্সেলর সাজিদ জাবিদ, ইংলিশ ক্রিকেটার আ্যালিস্টার কুক, অভিনেতা এডি রেডমেইন, ডেনিয়েল লুইস, স্টীফেন ফ্রাই, ইয়ান মেককেলেন, মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেইট, প্রতিষ্ঠিত বৃটিশ কুটনীতিক, রাজনীতিক, সংগীতশিল্পী, অভিনেতাসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা বিভিন্ন সময়ে ফ্রিডম অব দ্য সিটি অব লন্ডন সম্মাননা লাভ করেছেন। অতি সম্প্রতি যুক্তরাজ্যে চীনের রাস্ট্রদুত, ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের গভর্নর মার্ক কার্নি ও সদ্য অবসরে যাওয়া বৃটিশ সুপ্রিম কোর্টের প্রেসিডেন্ট লেডি হেইলকে অনারারি এ সম্মাননা প্রদান করা হয়।