রিপোর্টারদের সঙ্গে আলাপকালে ব্রিটিশ হাইকমিশনার
ব্রেক্সিটের কারণে বাংলাদেশের সামনে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে
ব্রেক্সিট কার্যকর হওয়ার কারণে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে বাণিজ্য, উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির ক্ষেত্রে নতুন নতুন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের আলাদা হয়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন এই মন্তব্য করেছেন। তিনি আজ বৃহস্পতিবার ঢাকায় তার বাসভবনে রিপোর্টারদের সঙ্গে আলাপকালে এমন মন্তব্য করেন। তিনি বলেছেন, ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ব্রিটেনের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করা হচ্ছে। ব্রিটিশ হাইকমিশনার ব্রেক্সিট নিয়ে ব্রিফ করতে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের আয়োজন করেছিলেন।
ব্রিটেন শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে ইইউ থেকে বিচ্ছেদে যাচ্ছে। তবে পুরোপুরি বিচ্ছেদ কার্যকর হতে ১১ মাস সময় লাগবে। স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে ইউরোপীয় ইউনিয়নে রফতানি ক্ষেত্রে শূন্যশুল্ক সুবিধা পায় বাংলাদেশ। যুক্তরাজ্য দেশগুলোর সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে নতুন নিয়ম কানুন প্রতিষ্ঠায় আলাপ আলোচনা শুরু করেছে। ব্রিটিশ হাইকমিশনার জানান, দীর্ঘমেয়াদে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। বিনিয়োগও বাড়তে পারে।
তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গা সংকট ও জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করবে যুক্তরাজ্য। বাংলাদেশের মেধাবীরা যুক্তরাজ্যে কর্মসংস্থানের জন্য যাওয়ার সুযোগ পাবে। এখন নতুন এক ধরনের ভিসা দেবে যুক্তরাজ্য যার মাধ্যমে গোটা বিশ্ব থেকেই মেধাবী লোক নেয়া হবে। এতদিন যা ইউরোপের জন্য সীমিত ছিল। এখন সেই সুযোগ বিশ্বের অন্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশিরাও নিতে পারবে।
ডিকসন বলেন, ইইউ থেকে বাংলাদেশ যেমন শূন্যশুল্ক সুবিধা পায় যুক্তরাজ্য থেকেও একই সুবিধা লাভ করবে। বাংলাদেশের গ্রাজুয়েশনের পর একইভাবে যুক্তরাজ্যও ব্যবস্থা নেবে। তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে চার বিলিয়ন ডলারের পণ্য যুক্তরাজ্যে রফতানি করে বাংলাদেশ। তার বিপরীতে বাংলাদেশ যুক্তরাজ্য থেকে আমদানি করে ৪৫০ মিলিয়ন ডলারের পণ্য। বাণিজ্য ব্যাপকভাবে বাংলাদেশের অনুকূলে রয়েছে। বাংলাদেশে দ্বিতীয় বৃহত্তম বিনিয়োগকারী দেশ যুক্তরাজ্য। বাংলাদেশ একটি ক্রমবর্ধমান দেশ। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে মারাত্মক অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। আইসিজে যে আদেশ দিয়েছে তা বাস্তবায়নে মিয়ানমারের ওপর চাপ অব্যাহত রাখতে হবে।