ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য শান্তি পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান আরব লীগের
পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ট্রাম্প প্রশাসনকে কোনো ধরনের সহায়তা করা হবে না
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য শান্তি পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করেছে মধ্যপ্রাচ্যে মুসলিম দেশগুলোর সংস্থা আরব লীগ।সংস্থাটির মহাসচিব আহমাদ আবুল-গেইত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘ডিল অব দ্যা সেঞ্চুরি’কে হতাশাজনক বলে মন্তব্য করেছেন। আবুল-গেইত বলেন, ডিল অব দ্যা সেঞ্চুরি ঘোষণা করার জন্য বর্তমান সময়কে বেছে নেয়ায় অনেক প্রশ্ন ও অস্পষ্টতা তৈরি হয়েছে। বৈঠকে অংশগ্রহণ করে ফিলিস্তিনি স্বশাসন কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেন, তিনি আর মার্কিনীদের বিশ্বাস করেন না। গতকাল মিশরে এক জরুরি বৈঠকে দেশগুলোর প্রতিনিধিরা এটা প্রত্যাখ্যান করার ব্যাপারে একমত হন। পরে বিবৃতিতে সেই সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
আরব লীগের এ জরুরি বৈঠকে ইরাকের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ আলী আল-হাকিম জেরুজালেম আল-কুদসকে রাজধানী করে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ওপর জোর দেন।তিনি বলেন, ফিলিস্তিনিদের ওপর এতদিন ধরে সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়ার যে ধারা চলে এসেছে তারই ধারাবাহিকতায় ‘ডিল অব দ্যা সেঞ্চুরি’ ঘোষণা করা হয়েছে।
আরব লীগ বলেছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই পরিকল্পনা মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ফেরাতে পারবে না। যুক্তরাষ্ট্র-ইসরাইলের ‘শতাব্দীর সেরা চুক্তি’তে ফিলিস্তিনিদের ন্যূনতম অধিকার দেওয়া হয়নি বলে বিবৃতিতে জানানো হয়। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রশাসনকে কোনো ধরনের সহায়তা করা হবে না বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি। জোর করে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা উচিত হবে না বলে নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন। ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস এই বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছিলেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গত মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যকার দ্বন্দ্ব-সংঘাত নিরসনের নাম করে ‘ডিল অব দ্যা সেঞ্চুরি’ পরিকল্পনা প্রকাশ করেন। তবে এতে ফিলিস্তিনের আল-কুদস বা জেরুজালেম শহরকে ইহুদিবাদী ইসরাইলের অবিভক্ত রাজধানী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
মার্কিন-ইহুদিবাদী এই পরিকল্পনায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত ফিলিস্তিনি শরণার্থীদেরকে তাদের মাতৃভূমিতে ফিরে যাওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। এ ছাড়া, জর্দান নদীর পশ্চিম তীরের অবশিষ্ট অংশ ও গাজা উপত্যকা নিয়ে একটি দুর্বল ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের কথা বলা হয়েছে।ফিলিস্তিনি স্বশাসন কর্তৃপক্ষ এবং প্রতিরোধ আন্দোলনগুলো অর্থাৎ সকল ফিলিস্তিনি জনগণ ট্রাম্পের এ পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করেছেন।