লন্ডনে দুই রুমের ফ্ল্যাটে ৩৩ জন, ৩০ হাজার পাউন্ড জরিমানা!
টাওয়ার হ্যামলেটসের হোয়াইটচ্যাপেল এলাকায় দুই রুমের একটি ফ্ল্যাটে ৩৩ লোককে গাদাগাদি অবস্থায় বসবাসে বাধ্য করায় ফ্ল্যাটের মালিক ও প্রোপার্টি এজেন্টকে ৩০ হাজার পাউন্ডেরও বেশি জরিমানা করেছেন আদালত। সম্প্রতি টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের এনভায়রনমেন্টাল হেলথ বিভাগের অফিসাররা ৫-৭ কোর্ট স্ট্রিটের ঐ ফ্ল্যাটে অভিযান চালান। এ সময় তারা সেখানে অবৈধভাবে ও ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে ৩৩ জন লোক বাস করছেন বলে দেখতে পান। এই অভিযানকালে পুলিশসহ অন্যান্য পার্টনার এজেন্সির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অভিবাসন সংক্রান্ত অপরাধের দায়ে এ সময় ৫ জনকে সেখান থেকে গ্রেফতারও করা হয়।
কাউন্সিল ফ্ল্যাটটির মালিক ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা এস্টেট এজেন্টের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করে। ৩ জানুয়ারি টেমস ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে শুনানিকালে ফ্ল্যাটের মালিক মকবুল খান তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগসমূহের দায় স্বীকার করে নিলে আদালত তাকে ২২ হাজার ৫০০ পাউন্ড জরিমানা করেন। অন্য অভিযুক্ত ম্যানেজিং এজেন্ট এআরএস প্রোপার্টিজ এর ডিরেক্টর মোহাম্মদ আবুল মিয়া আদালতে উপস্থিত না থাকলেও তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হয়। আদালত মোহাম্মদ আবুল মিয়াকে ১,৬৫০ পাউন্ড এবং তার প্রতিষ্ঠান এআরএস প্রোপার্টিজকে ১,৬৫০ পাউন্ড জরিমানা করেন। এছাড়া তাদের প্রত্যেককে মামলার খরচ বাবদ ১,৭০১.৭৩ পাউন্ড প্রদান করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে টাওয়ার হ্যামলেটসের মেয়র জন বিগস বলেন, যে পরিবেশে ভাড়াটেদের রাখা হয়েছে, তা মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা প্রায়শই দেখতে পাই যে আমাদের সমাজের সবচেয়ে দুর্বল ও সুবিধাবঞ্চিত লোকেরা দুর্বৃত্ত বাড়িওয়ালের দ্বারা শোষিত হচ্ছেন। আদালতের এই অর্থদন্ড তাদের জন্য একটি বার্তা, যে এমনটা কোন অবস্থাতেই সহ্য করা হবে না।
ডেপুটি মেয়র এবং হাউজিং বিষয়ক কেবিনেট মেম্বার, কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম বলেন, ইংরেজি ভাষা জ্ঞানের অভাব, আবাসন সংক্রান্ত অধিকার ও সহায়তা সেবা সম্পর্কে সচেতনতার অভাবের ফলে অভিবাসীরা যে ক্রিমিনাল ল্যান্ডলর্ডদের দ্বারা শোষিত হন, তারই আরেকটি উদাহরণ হচ্ছে এই মামলাটি।