রোববার জামায়াতের বিক্ষোভ
একদলীয় প্রহসনের নির্বাচনের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে এবং ট্রাইব্যুনাল ভেঙে দিয়ে জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ ১৮ দলীয় জোটের গ্রেফতারকৃত সব নেতা-কর্মী এবং আলেমদের মুক্তি ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা সংবিধানে পুনর্বহাল করে অবিলম্বে সরকারের পদত্যাগের দাবীতে রোববার দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জামায়াত। দলের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান শুক্রবার এক বিবৃতিতে এই কর্মসূচী ঘোষণা করেন। বিবৃতিতে তিনি বলেন, সরকার ১৮ দলীয় জোটসহ বিরোধী দলগুলোকে বাইরে রেখে একদলীয় প্রহসনের নির্বাচন করার যে ষড়যন্ত্র করছে আমি তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। দেশের শতকরা ৯০ ভাগ মানুষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যাপারে ঐক্যবদ্ধ। কিন্তু দেশের জনগণের ও বিরোধী দলগুলোর মতামত উপো করে বর্তমান আওয়ামী জোট সরকার স্বৈরাচারী পন্থায় ভোটারবিহীন নির্বাচনের যে ষড়যন্ত্র ও পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে তা দেশবাসী মানবে না। এ প্রহসনের নির্বাচন গ্রহণযোগ্য করার জন্য ছলচাতুরীর আশ্রয় নিয়ে জালভোট দিয়ে শতকরা ৫১ ভাগ ভোট কাষ্ট করার জন্য সরকার যে ষড়যন্ত্র করছে তা কখনো বাস্তবায়ন করতে দেয়া হবে না। সরকার ভোটারবিহীন একদলীয় প্রহসনের নির্বাচন করার যত ফন্দি-ফিকিরই করুক না কেন দেশের জনগণ তা অবশ্যই প্রতিহত করবে। তাই এ ষড়যন্ত্র থেকে বিরত থেকে জাতীয় সংসদের চলতি অধিবেশনেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে পুনর্বহাল করে শুভবুদ্ধির পরিচয় দেয়ার জন্য আমি সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। তিনি বলেন, সরকার জামায়াতে ইসলামীসহ বিরোধীদলের নেতাদের হত্যা করে রক্তপাত ঘটিয়ে আন্দোলন দমন করে স্বৈরাচারী ও একনায়কতান্ত্রিক পন্থায় মতায় থাকার যে আশা করছে তা কখনো পূরণ করতে দেয়া হবে না। তথাকথিত মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচারের নামে প্রহসনের জন্য গঠিত বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ ট্রাইব্যুনালের বিচারের প্রতি দেশের জনগণের কোনো আস্থা নেই। ঐ ট্রাইব্যুনালের বিচারের কোনো স্বচ্ছতা, নিরপেক্ষতা ও গ্রহণযোগ্যতা নেই। এ পর্যন্ত ওই ট্রাইব্যুনাল যত রায় দিয়েছে তার সবগুলোই আইনমন্ত্রণালয় থেকে রচিত হয়েছে। তাই ওই প্রশ্নবিদ্ধ ও বিতর্কিত ট্রাইব্যুনাল ভেঙ্গে দিয়ে জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ ১৮ দলীয় জোটের গ্রেফতারকৃত নেতৃবৃন্দ ও আলেমদের মুক্তি দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যবস্থা সংবিধানে পুনর্বহাল করে অবিলম্বে সরকারের পদত্যাগ করা উচিত। সরকার যদি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ না করে তাহলে দেশের জনগণ তীব্র গণআন্দোলনের মাধ্যমে ক্ষমতাসীন জালেম সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করবে। এ দেশের জনগণ বুকের রক্ত দিয়ে যেভাবে অতীতে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে ঠিক একইভাবে এ জালেম সরকারের বিরুদ্ধেও গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলবে। এ দেশের জনগণ চূড়ান্ত আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত। তিনি ঘোষিত এ কর্মসূচি সফল করার জন্য জামায়াতে ইসলামীর সকল শাখা ও দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।