গ্রাহকদের অর্থের অপব্যবহার
ব্রিটেনে সম্পত্তি পরিচালকের বিরুদ্ধে ৫ বছরের নিষেধাজ্ঞা
জটিল ব্যবসায়িক পরিস্থিতিতে ২০১৮ সালের আগস্টে আবাসিক বিক্রয় ও ভাড়া সংস্থা দেউলিয়া হয়ে পড়ার পর জেইন হিপকিন রাসেলের আচরণের ব্যাপারে তদন্ত শুরু হয়। তিনি এসব ব্যবসার একমাত্র পরিচালক ছিলেন। দেউলিয়া পরিষেবার তদন্তকারীরা জনাথন ওয়াটার্স এস্টেট এজেন্টস লিমিটেড ভেঙ্গে পড়ার কারণ অনুসন্ধান করে এবং দেখতে পায় যে, অ্যাসেক্সের ফ্রিনটন-অন-সী’র বাসিন্দা জেইন রাসেল একটি স্বীকৃত স্কীমে আইনানুযায়ী সকল ভাড়াটের অর্থ জমা করার কথা থাকলেও তিনি তা করতে ব্যর্থ হয়েছেন। জেইন রাসেল ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে কোম্পানীটি অধিগ্রহণের পূর্বে ইপসউইক ভিত্তিক এস্টেট এজেন্টসমূহের জন্য বহু বছর কাজ করেন।
কোম্পানীটি দেউলিয়া অবস্থায় উপনীত হওয়ার পর, তদন্তকারীরা দেখতে পান যে, কোম্পানীতে ১১ জন ভাড়াটের জমাকৃত ১২০০০ পাউন্ডের কোন রেকর্ড বা বিবরণ নেই, যা ২০১৮ সালের মার্চ ও আগষ্টের মধ্যে গ্রহণ করা হয়। সব মিলিয়ে ২০ হাজার পাউন্ড একটি সরকারী সহায়তাপ্রাপ্ত আইনানুগ অর্থ সুরক্ষা স্কীমে জমা করা হয়নি।
এছাড়া কোম্পানীটি ২০১৮ সালের মার্চ ও আগষ্টের মধ্যে ৭ হাজার পাউন্ডেরও বেশী সংগ্রহ করে। এটাও ভাড়াটেদের ল্যান্ড-লর্ড অর্থাৎ ভূ-স্বামীদের পরিশোধের কথা ছিলো। কিন্তু এর পরিবর্তে এই অর্থ ব্যবসায়ের সাধারণ পরিচালনার ক্ষেত্রে ব্যয় করা হয়। রাসেলের এধরনের কর্মকান্ডের দরুন, এস্টেট এজেন্টদের ভাড়াটে ও ল্যান্ডলর্ডদের কাছে ২৮ হাজার পাউন্ডেরও বেশী ক্ষতি স্বীকার করতে হয়।
নিষেধাজ্ঞাটি ২০২০ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারী থকে ৫ বছরের জন্য কার্যকর হবে, যার ফলে জেইন রাসেলের বিরুদ্ধে আদালতের অনুুমতি ছাড়া একজন পরিচালক হিসেবে কাজ করা কিংবা এতে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত হওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। এছাড়া এসময় তিনি কোন কোম্পানী উদ্যোক্তা হতে পারবেন না কিংবা এর গঠন বা ব্যবস্থাপনার কাজ ও করতে পারবেন না।
দেউলিয়া পরিষেবা’র সিনিয়র তদন্তকারী রব শীলস্ বলেন, জেইন রাসেলের ভূমিকার একটি মৌলিক অংশ ছিলো তার পক্ষ থেকে ভাড়াটে ও ভূস্বামীদের অর্থের সুরক্ষার দায়িত্ব, কিন্তু কোম্পানীটির দেউয়ালিত্ব বরণের আগে তিনি তার করতে ব্যর্থ হন। এই অযোগ্যতা একইভাবে অর্থ সুরক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত অন্যান্য পরিচালকদের প্রতি একটি বিঘ্ন সৃষ্টিকারী অযোগ্যতা হিসেবে প্রতীয়মান।