‘ব্রিটেন ফার্স্ট’ নেতা পল গোল্ডিং সন্ত্রাসবাদে অভিযুক্ত
ব্রিটেনের মুসলিম-বিরোধী উগ্র ডান পন্থী দল ‘ব্রিটেন ফার্ষ্ট’-এর নেতা পল গোল্ডিং পুলিশকে তার ফোনের অ্যাক্সেস দিতে অস্বীকার করায় তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাস আইনে একটি অপরাধের অভিযুক্ত করা হয়েছে। লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম কমান্ডের কর্মকর্তারা মস্কোর রাশিয়ান পার্লামেন্টের সফর থেকে ফেরার পথে গত অক্টোবরে হিথ্রো বিমানবন্দরে পল গোল্ডিংকে থামিয়ে দেওয়া হয়। তিনি তার বেশ কয়েকটি বৈদ্যুতিক ডিভাইসের জন্য পিন কোড দিতে অস্বীকার করেছিলেন। আগামী বৃহস্পতিবার তিনি ওয়েস্টমিনস্টার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হবেন। ৩৮ বছরের গোল্ডিং এর বিরুদ্ধে সন্ত্রাস আইনের অনুচ্ছেদ ৭ এর অধীনে দায়িত্ব পালনে অস্বীকার করার অভিযোগ আনা হয়েছে। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছিলেন যে, তিনি সন্ত্রাসবাদী নন এবং তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগকে আইনটির অপব্যবহার বলে বর্ণনা করেছেন।
অনুচ্ছেদ ৭ ইউকে বন্দরে পুলিশকে জিজ্ঞাসাবাদ, অনুসন্ধান এবং ছয় ঘন্টা অবধি আটক করার অনুমতি দেয়। কোনও ব্যক্তি সন্ত্রাসবাদের ক্রিয়াকলাপে ‘‘কমিশন, প্রস্তুতি বা প্ররোচনা’’ জড়িত কিনা তা নির্ধারণ করার জন্য এটা তৈরি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে ধর্মীয়ভাবে জুলুম করার অভিযোগে ব্রিটেন ফার্স্ট-এর প্রধান পল গোল্ডিং এবং জেডা ফ্রান্সেনকে কারাদণ্ড দেয়া হয়। ২০১৭ সালে ব্রিটেনের উগ্র ডানপন্থী গোষ্ঠী ‘ব্রিটেন ফার্স্ট’ এর তিনটি উস্কানিমূলক মুসলিমবিদ্বেষী ভিডিও রিটুইট করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পরে এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে দুঃখ প্রকাশ করেন ট্রাম্প। এছাড়া, বিদ্বেষ ছড়ানো ও একাধিকবার ফেসবুক ব্যবহারের নীতিমালা ভঙ্গের দায়ে গত বছর ব্রিটেন ফার্স্ট এর ২০ লাখ লাইক সম্বলিত ভেরিফায়েড পেজ বন্ধ করে দেয় ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। লন্ডনের মেয়র সাদিক খানও বলেছেন, ব্রিটেন ফার্স্ট একটি ‘নীচ এবং বিদ্বেষপূর্ণ সংগঠন’।