করোনাভাইরাসে এবার আতঙ্ক বাড়ছে ইউরোপে
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব এবার ইউরোপে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। ইতালি এরই মধ্যে দেড় শতাধিক আক্রান্ত শনাক্ত করেছে। মিলান এবং এর আশেপাশের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার স্কুল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে ভেনিস কার্নিভ্যাল। গতকাল রোববার ইতালি সরকার কমপক্ষে ১০টি শহরকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। বিভিন্ন শহরে গণজমায়েতের অনুষ্ঠান যেমন খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ইত্যাদি বাতিল করে দেয়া হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার প্রথম পাঁচজনের মতো করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করে ইতালি। এর পরই চীন থেকে দূরবর্তী হওয়া সত্ত্বেও ইউরোপজুড়ে এ ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে শঙ্কা বাড়তে শুরু করেছে।
এদিকে চীনে নভেল করোনাভাইরাস ডিজিজ বা কভিড-১৯-এ দৈনিক মৃত্যুর গড় অর্ধশত ছাড়িয়েছে। আজ সোমবার দেশটির স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে গতকাল মধ্যরাত থেকে এ পর্যন্ত ১৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশটির মূলভূখণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫৯২ জনে।
চীনের বাইরে এখন সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে গতকাল পর্যন্ত মারা গেছেন সাত জন ও নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৬১ জন। এ নিয়ে দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৭৬৩ জনে। দেশটিতে এ পর্যন্ত সংক্রমিতের সংখ্যা সপ্তাহের ব্যবধানে তিন গুণ বেড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে চীনের প্রতিবেশী দেশটি সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে। এরই মধ্যে স্যামসাংয়ের একটি কারখানাও বন্ধ হয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
ইরানে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংক্রমণ বাড়ায় দেশটির সঙ্গে সীমান্ত যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে তুরস্ক, পাকিস্তান ও আর্মেনিয়া। প্রতিবেশী দেশ আফগানিস্তানও ভ্রমণে সতর্কতা জারি করেছে। অপরদিকে চীনে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪০৯ জন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৭৭ হাজার ১৫০ জনে। বিশ্বব্যাপী এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৯ হাজার ৩৫৪ জনে। ভাইরাসটির উৎপত্তিস্থল হুবেই প্রদেশে কভিড-১৯ এর আগ্রাসন কমছেই না। নতুন করে আক্রান্তের ৪০৯ জনের ৩৯৮ জনই এই প্রদেশের। এছাড়া গতকাল একজন বাদে বাকি মৃত্যু এ প্রদেশেই হয়েছে।