লালমনিরহাটে প্রায় দেড় হাজার বছরের পুরোনো মসজিদের পুনঃনির্মাণ
লালমনিরহাটে প্রায় দেড় হাজার বছরের পুরনো ঐতিহাসিক হারানো মসজিদের পুন:নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। এর আগে ৬৯০ খ্রি: মোতাবেক ৬৯ হিজরীতে নির্মিত হয় মসজিদটি। এ প্রাচীন মসজিদটি লালমনিরহাট সদর উপজেলার ৭ নং পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের রামদাস গ্রামে অবস্থিত। পুরোনো ওই সাহাবা মসজিদের সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান মো: দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে ৩ ফেব্রয়ারি অনুষ্ঠিত হয় বিশাল ইসলামী মহাসম্মেলন।
নতুন করে এ মসজিদের ভিত্তিস্থাপন করেছেন রাসূলুল্লাহ (সা:)-এর চাচা হযরত আব্বাস (রাঃ) বংশধর ও ফিলিস্তিনের মসজিদে আকসার গ্যান্ড ইমাম শায়খ আলী উমর ইয়াকুব আল আব্বাসি। সাহাবা মসজিদ (হারানো মসজিদ)কে কেন্দ্র করে সেখানে গড়ে তোলা হবে আস-সাহাবা কমপ্লেক্স। মসজিদের পাশাপাশি এটি হবে দেশের সবচেয়ে বড় একটি ইসলামিক সেন্টার। স্থানীয়দের দাবি এ মসজিদটি হযরত মুহাম্মদ (সা:)-এর কোনো এক সাহাবী নির্মাণ করেছিলেন। যিনি এ অঞ্চল অতিক্রম করে চীনে গিয়েছিলেন। চীনের ঐতিহাসিক কোয়াংটা নদীর ধারে কোয়াংটা শহরে তার নির্মিত আরও একটি মসজিদ এবং তার সমাধি সৌধ রয়েছে।
ওই সাহাবীর নাম হযরত আবু ওয়াক্কাস (রাঃ)। গত ১৯৮৬-৮৭ সালের দিকে অনেকটা আশ্চার্যজনক ভাবে পাওয়া যায় প্রাচীন এ মসজিদটির সন্ধান। যা বাংলাদেশ তথা দক্ষিণ এশিয়ার মুসলিমদের আগমনের ইতিহাসের রাজ স্বাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। সূত্র জানায়, রাসূলুল্লাহ(সা:)-এর আম্মা বিবি আমেনার চাচাতো ভাই হযরত আবু ওয়াক্কাস (রাঃ) ৬২০ থেকে ৬২৬ খ্রি: বাংলাদেশে ইসলাম প্রচারে এসেছিলেন। ধারণা করা হয় তিনিই এ ঐতিহাসিক মসজিদটি নির্মাণ করেছেন। বাংলাদেশের সর্বপ্রথম এ মসজিদটি উত্তর-দক্ষিণে ২১ ফুট লম্বা এবং পূর্ব-পশ্চিমে ১০ ফুট চওড়া। বাংলাদেশের এ প্রাচীন মসজিদটি সাহাবা মসজিদ নামে পরিচিত। পুন:নির্মাণে দেশ ও বিদেশের অনেক আলেম ও ওলামা আর্থিক সহযোগিতা করছেন।