টাওয়ার হ্যামলেটসের নতুন অর্থ বছরের বাজেট পাশ
টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল তার ২০২০/২১ অর্থ বছরের বাজেট অনুমোদন করেছে। এই বাজেটে বারার সবচেয়ে অসহায় বা অসুরক্ষিত বাসিন্দাদের প্রয়োজনীয় সুরক্ষা নিশ্চিত করার পাশাপাশি কমিউনিটির নিরাপত্তা, আবাসন ও গণস্বাস্থ্য খাতকে সবচেয়ে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে।
১৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত কাউন্সিলের পূর্ণাঙ্গ সভায় প্রস্তাবিত বাজেট আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন লাভ করে। বাজেট নিয়ে জনসাধারণের সাথে সুসমন্বিত আলোচনা পাওয়া ফিডব্যাক এবং বাসিন্দা ও ব্যবসায়ি সম্প্রদায় যে সকল সার্ভিসের ওপর নির্ভরশীল, গুরুত্বপূর্ণ সেই সকল সেবাখাতগুলোতে অর্থায়ন অব্যাহত রাখার অঙ্গিকারের প্রতিফল ঘটেছে পাশ হওয়া নতুন বাজেটে।
এ প্রসঙ্গে টাওয়ার হ্যামলেটসের নির্বাহী মেয়র জন বিগস বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারে অব্যাহত তহবিল কর্তনের ফলে সারা দেশের কাউন্সিলগুলো নজিরবিহীন আর্থিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। টাওয়ার হ্যামলেটসে, ২০১০ সাল থেকে এ পর্যন্ত আমাদেরকে ১৯০ মিলিয়ন পাউন্ড সাশ্রয় করতে হয়েছে এবং আগামী তিন বছরে আরো ৩৯ মিলিয়ন পাউন্ড সাশ্রয় করতে হবে বলে আমরা ধারনা করছি।
মেয়র আরো বলেন, এতদসত্বেও আমরা আগামী তিন বছরের জন্য উচ্চাভিলাসী এবং ইতিবাচক পরিকল্পনাসমূহ সুনির্দিষ্ট করে একটি বাজেট পাশ করেছি। এই বাজেটে আমাদের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বা অসহায় বাসিন্দাদের প্রথম স্থানে রেখে ফ্রন্টলাইন সার্ভিসগুলোকে সুরক্ষিত করার পাশাপাশি আমরা নতুন বাড়ি ঘর নির্মান, উন্নত কর্মসংস্থান এবং পরিচ্ছন্ন, সবুজ ও নিরাপদ রাস্তাসমূহ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ করেছি।
উল্লেখ্য, কাউন্সিল ট্যাক্স বা কর হার এ বছর ১.৯৯ পার সেন্ট বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য প্রদত্ত সোশ্যাল কেয়ার সার্ভিস পরিচালনার জন্য আরো ২ শতাংশ বাড়বে। এরপর টাওয়ার হ্যামলেটস এখনো দেশের সপ্তম সর্বনিম্ন কাউন্সিল ট্যাক্স বরা থাকবে বলে আমরা প্রত্যাশা করছি।
নতুন পাশ হওয়া বাজেটে আইডিয়া স্টোর, লাইব্রেরী সমূহ, লেজার সেন্টার সমূহ ও পার্কগুলোর উন্নয়নে বিনিয়োগ, চিলড্রেন সোশ্যাল কেয়ার এবং বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের জন্য ৭.২ মিলিয়ন পাউন্ড বরাদ্দ, অসহায় প্রাপ্তবয়স্কদের সহযোগিতায় আরো ১২.৪ মিলিয়ন পাউন্ড বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এছাড়া মাদক-সংশ্লিষ্ট অপরাধ মোকাবেলা ও রাস্তা ফুটপাতকে নিরাপদ রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ অফিসারদের জন্য তহবিলের যোগান অব্যাহত রাখা, নতুন কাউন্সিল হোমস এবং আরো সহস্রাধিক এফোর্ডেবল হোমস নির্মান ও সরবরাহ, বারার সকল প্রাইমারী স্কুল শিক্ষার্থীর জন্য ফ্রি স্কুল মিলস কার্যক্রম অব্যাহত রাখা, নতুন ইন-হাউজ ওয়্যেস্ট সার্ভিসের মাধ্যমে বারার রাস্তাগুলোকে পরিচ্চছন্ন রাখা, শত ভাগ কাউন্সিল ট্যাক্স ডিসকাউন্ট প্রদানের মাধ্যমে দরিদ্র লোকজনকে সুরক্ষা প্রদান এবং দারিদ্রতা মোকাবেলা তহবিলে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে।
মেয়র জন বিগস কাউন্সিলের গুরুত্বপূর্ণ অংশিদার ও স্টেকহোল্ডারদের সাথে সমন্বয় করে একটি পোভার্টি কমিশন গঠনের মাধ্যমে দারিদ্রতা মোকাবেলা তহবিলকে আরো জোরদার করতে তাঁর আগ্রহের কথাও ঘোষনা করেন।
কেবিনেট মেম্বার ফর রিসোর্সেস এন্ড দ্যা ভলান্টারি সেক্টর, কাউন্সিলর ক্যানডিডা রোনাল্ড বলেন, বাজেট নিয়ে আমাদের কনসালটেশনগুলো থেকে আমরা এটাই অবগত চেয়েছি যে, চিলড্রেনস সার্ভিস, শিক্ষা এবং অসহায় শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কদের সুরক্ষা ও সহায়তা প্রদান আমাদের বাসিন্দাদের কাছে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাদের এই অগ্রাধিকারসমূহকে আমরা বাজেটে সন্নিবেশিত করেছি।