শপথ নিলেন ইয়াসিন
দুকুল হারালেন মাহাথির মোহাম্মদ
‘ক্ষমতা পাকাপোক্ত’ করার অতিলোভে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে আকস্মিক পদত্যাগ করেন মাহাথির মোহাম্মদ।ভেবেছিলেন, তার নিজ দল ও আনোয়ার ইব্রাহিমের দলের এমপিদের ভাগিয়ে আবার ক্ষমতায় আসবেন। তবে তাঁকে হতাশ করে দেশটির রাজা নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন ইউনাইটেড ইন্ডিজেনাস পার্টির প্রধান মুহিদ্দীন ইয়াসিনকে। ইতিমধ্যে আজ রোববার সকালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন মুহিদ্দীন। ফলে একুল ও কুল দুকুলই হারালেন মালেয়শিয়ার এক সময়ের কিংবদন্তি মাহাথির মোহাম্মদ। হিরো থেকে পরিণত হলেন জিরোতে।শেষ বয়সে কপালে জুটলো ’ক্ষমতালোভি’র তকমা।
২০১৮ সালে নির্বাচনে মাহাথির মোহাম্মদ ও আনোয়ার ইব্রাহীমের জোট জয়ী হয়ে সরকার গঠনের সময় আনোয়ার ইব্রাহিমের কাছে পরবর্তীতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে এমন একটি বিষয়ে দুই নেতা একমত হয়েছিলেন। তবে ক্ষমতা হস্তান্তর না করেই পদত্যাগের ঘোষণা দেন মাহাথির। অভিযোগ উঠে, নিজের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে নতুন এই কৌশল নেন মাহাথির। এরপর অবশ্য দেশটির রাজা প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ ও মন্ত্রিসভা গঠনের আগ পর্যন্ত মাহাথিরকেই অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা জারি করেছিলেন। কিন্তু এরপর রাজা মুহিদ্দীন ইয়াসিনকে মালয়েশিয়ার নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন।
এদিকে রোববার মাহাথির বলেছেন, মুহিদ্দীন আমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। এর পেছনে তিনি দীর্ঘসময় ধরে কাজ করেছেন এবং অবশেষে সফল হলেন। মাহাথির আরো বলেন, আমরা এমন একজনকে দেখতে যাচ্ছি যার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য সংখ্যাগরিষ্ঠ সমর্থন নেই। সেইসঙ্গে শিগগিরই সংসদ অধিবেশনের আহ্বান জানিয়েছেন মাহাথির। মাহাথির বলেন, মালয়েশিয়ার সংবিধান অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত ব্যক্তির অবশ্যই সংখ্যাগরিষ্ঠ সাংসদদের সমর্থন থাকতে হবে।
এছাড়া তিনি দাবি করেছেন, ২২২ জনের শক্তিশালী পার্লামেন্টে ১১৪ জন সদস্য তাঁর পক্ষে আছেন। তবে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, ক্ষমলার লোভেই কি ক্ষমতা হারালেন মাহাথির? এর আগে মাহাথির বারিসান ন্যাশনাল দলের নেতা হিসেবে টানা প্রায় ২২ বছর দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন শেষে ২০০৩ সালে ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ান ।