ভারতে একদিনেই উধাও ৫.৫৩ লাখ কোটি টাকা
বিশ্ব শেয়ারবাজার: পাঁচ দিনে হারাল ৫ ট্রিলিয়ন ডলার
এমএসসিআই ওয়ার্ল্ড স্টকগুলি মাত্র পাঁচ দিনে রেকর্ড পরিমাণ মূলধন হারিয়েছে। বিশ্বব্যাপী ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি মূলধন খোয়া গেছে যা জাপানের বার্ষিক জিডিপির সমান। বৃহস্পতিবার বিকেলে গুগেনহিমের স্কট মিনার্ড বলেন, ‘এটি আমার ক্যারিয়ারে সম্ভবত সবচেয়ে খারাপ জিনিস আমি দেখেছি। ভাইরাসের হুমকিসহ এমন একটি দৃশ্যের কল্পনা করাও শক্ত যে, ইউরোপ এবং চীন সম্ভবত ইতোমধ্যে মন্দায় পড়েছে এবং মার্কিন জিডিপি ১.৫-২.০% ক্ষতিগ্রস্থ হবে। এমএসসিআই এসিডাব্লিউআই বৃহত্তম ইক্যুইটি মার্কেট যেখান থেকে গত পাঁচ দিনে ১০ শতাংশ মূলধন হারিয়ে গেছে। এটি ২০১১ সালের আগস্ট মাসের পর থেকে সবচেয়ে বড় হ্রাস। ডাও জোন্স মহামন্দার ঠিক আগে ১৯৩৮ সালের পর থেকে সর্বকালের শীর্ষ থেকে দ্রুততম সময়ে ধসে পড়েছে।
ভারতে একদিনেই উধাও ৫.৫৩ লাখ কোটি: বিপুল ক্ষতি আম্বানির
করোনা ভাইরাসের জেরে দালাল স্ট্রিটে পতনলীলা অব্যাহতই। তবে শুক্রবার গত চার মাসে সর্বাধিক ক্ষতির সম্মুখীন হল ভারতের অভ্যন্তরীণ শেয়ার বাজার। মাত্র পাঁচ মিনিটেই বাজার থেকে উবে গেল সাড়ে ৫ লাখ কোটি টাকা। আমেরিকার বাজারে মারাত্মক করোনা ভাইরাস সংক্রমণের প্রভাব পড়া শুরু হতেই বিশ্ব অর্থনীতিতে টালমাটাল অবস্থা দেখা দিয়েছে। আর স্বাভাবিকভাবে ‘সংক্রমিত’ ভারতের বাজারেও।
করোনা ভাইরাসের জেরে ভারতের ধনকুবেরদের সম্পদের পরিমাণ কমেছে লক্ষণীয়ভাবে। রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কর্তা, ভারতের ধনীতম ব্যক্তি মুকেশ আম্বানির ৫৯০ কোটি ডলার, উইপ্রো কর্তা আজিম প্রেমজির প্রায় ৮৭ কোটি ডলার, শিল্পপতি গৌতম আদানির প্রায় ৫০ কোটি ডলারের সম্পদমূল্য হ্রাস পেয়েছে। তেমনই আদিত্য বিড়লা গ্রুপের চেয়ারম্যান কুমার মঙ্গলম বিড়লার ৮৯ কোটি ডলার, টাটা গোষ্ঠীর ৪১,৯৩০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। তাদের সম্পদ থেকে এই বিপুল অংশ মুছে গিয়েছে গত ১৫ দিনে, যখন ভারতের সূচকে পতন চলেছে।