ওআইসি ইয়্যুথ সামিট
বিশ্বের সফল ১০ মুসলিম যুবক পাচ্ছেন বঙ্গবন্ধু পদক
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সমহিমায় ভাস্বর যুবাদের মধ্য থেকে বাছাইকৃত ১৫০ জন যুবককে ঢাকায় আমন্ত্রণ জানাবে বাংলাদেশ। আগামী ১২ই এপ্রিলে ঢাকায় শুরু হতে যাওয়া ওআইসি ইয়্যুথ সামিটে অংশ নেবেন তারা। ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল-২০২০-এর এবারের আয়োজক বাংলাদেশ। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর বছরব্যাপী আয়োজনের সঙ্গে মিলিয়ে এবারের ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটালের বছরব্যাপী অনুষ্ঠানমালা সাজানো হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন জানিয়েছেন- ঢাকার আয়োজনে অংশ নেয়া দেড় শত যুব নেতৃত্বের মধ্য থেকে সেরা ১০ জনকে বঙ্গবন্ধু ইয়ুথ লিডারশীপ এওয়ার্ড বা বঙ্গবন্ধু পদক দেয়া হবে। মেগা ওই আয়োজনের প্রস্তুতির বিষয়ে জানাতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মা’য় এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলকে সঙ্গে নিয়ে ঢাকা ইয়ুথ ক্যাপিটাল-২০২০-এর স্বতন্ত্র ওয়েব সাইট উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আখতার হোসেন এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক সংস্থা অনুবিভাগের মহাপরিচালক খুরশেদ আলম খাস্তগীরসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জানান, পহেলা বৈশাখের আয়োজনকে সামনে রেখে ঢাকা ইয়ুথ ক্যাপিটালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানমালা চূড়ান্ত করা হয়েছে। ১২ই এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী ইয়ুথ সামিট উদ্বোধন করবেন। তবে তার এক দিন আগে আমন্ত্রিত ১৫০ যুব নেতৃত্ব ঢাকায় পৌঁছাবেন। তারা রাজধানীতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া ছাড়াও কক্সবাজার সফর করবেন। সেখানে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য্য উপভোগ করা ছাড়াও রোহিঙ্গা ক্যাম্প সরজমিনে দেখবেন তারা। সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক খুরশেদ খাস্তগীর জানিয়েছেন- ওআইসি ইয়ুথ সামিটে অংশ নিতে সাধারণত ৮ থেকে ১০ হাজার আবেদন জমা পড়ে। এর মধ্য থেকে ১৫০ জনকে বাছাই করবে হোস্ট কান্ট্রি বাংলাদেশ। তাদের মধ্য থেকে সেরা ১০ জনকে বিশেষ সম্মাননা জানানো হবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. মোমেন এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল-২০২০’র আয়োজক হতে বাংলাদেশকে কূটনৈতিকভাবে অনেক দেনদরবার করতে হয়েছে। চূড়ান্ত পর্বে বাংলাদেশের প্রতিদ্বন্দ্বি ছিল কাজাখস্তান এবং অন্য একটি দেশ ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশই জয়ী হয়েছে। মুজিববর্ষে এমন আয়োজনের দায়িত্ব পাওয়ায় ওআইসির ৫৭ রাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। উল্লেখ্য, কোটি টাকার ওই আয়োজনের সফলতা ওআইসিতে বাংলাদেশের অবস্থান মজবুত করবে এবং মুসলিম বিশ্বের বিশেষত যুবক ও তরুণদের কাছে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বাড়াবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।