ভারতের নাগরিকত্ব আইন নিয়ে মোদি সরকারের সমালোচনায় ব্রিটিশ পার্লামেন্ট
ভারতের বিষয়ে নজর রাখা হচ্ছে এবং প্রয়োজনে পদক্ষেপ নেয়া হবে
ভারতের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) ও এর প্রভাবে দিল্লিতে সংখ্যলঘু মুসলিমদের উপর সহিংসতা নিয়ে ভারতের মোদি সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট। মঙ্গলবার হাউস অফ কমন্সে এমপিরা ভারতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে যুক্তরাজ্যকে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান। এ বিষয়ে ব্রিটেনের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, যুক্তরাজ্য কখনোই মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে আপোষ করবে না। ভারতের বিষয়ে নজর রাখা হচ্ছে এবং প্রয়োজনে পদক্ষেপ নেয়া হবে।
দিল্লি সহিংসতায় প্রাণহানি এবং সম্পত্তিহানি নিয়ে বিরোধী দল লেবার পার্টির সদস্য পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত খালিদ মাহমুদ গতকাল হাউস অব কমন্সে প্রশ্ন তোলেন। জবাবে পররাষ্ট্র ও কমনওয়েলথ অফিসের প্রতিমন্ত্রী নাইজেল অ্যাডাম বলেন, ‘মানবাধিকার-সহ সব বিষয় নিয়ে আমরা ভারত সরকারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। ব্রিটিশ সরকার সিএএ-র সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে যথেষ্টই উদ্বিগ্ন।’ নয়াদিল্লির সঙ্গে লন্ডনের দীর্ঘদিনের সুসম্পর্কের কথা উল্লেখ করে অ্যাডাম বলেছেন, ‘ভারতের সঙ্গে আমাদের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ। ফলে আমরা অনেক জটিল বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে পারি। সংখ্যালঘুদের অধিকার-সহ যে সব বিষয় নিয়ে আমাদের উদ্বেগ রয়েছে, তা জানাব।’ আর এক পাক বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি নুসরত গনি আবেদন জানিয়েছেন, সরকার যেন এ বিষয়ে ভারতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। লেবার পার্টির ব্রিটিশ-শিখ এমপি তনমনজিৎ সিংহ দেশি জানিয়েছেন, দিল্লির অশান্তির ঘটনা তাকে মনে করিয়ে দিয়েছে ১৯৮৪ সালের শিখদের উপর সহিংসতার দিনগুলোকে। ওই সময় তিনি কলেজ-শিক্ষার্থী ছিলেন।