লন্ডনের মেয়র পদে এগিয়ে সাদিক খান
লন্ডনের মেয়র পদে নির্বাচনে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে রয়েছেন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত সাদিক খান। আজ বুধবার প্রকাশিত প্রথম জনমত জরিপে এই তথ্য জানা গেছে। ১,০০২ জন লন্ডনবাসীর উপরে এই জরিপটি চালিয়েছে গবেষণা সংস্থা ইউগভ। সেখানে দেখা গেছে বর্তমান মেয়র সাদিক খান তার প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ প্রার্থী শন বেইলির চেয়ে দুই অনুপাত এক ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন।
লন্ডনের মাইল এন্ড ইনস্টিটিউটের কুইন মেরি ইউনিভার্সিটি কর্তৃক পরিচালিত গবেষণা অনুসারে নভেম্বরের পর থেকে চার পয়েন্ট বেড়ে সাদিক খানের সমর্থন ৪৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে নির্বাচনের প্রথম ধাপে তিনি সহজেই জয় পেয়ে যাবেন। পরদিকে, শন বেইলি এক পয়েন্ট এগিয়েছেন। তার সমর্থন বেড়ে ২৪ শতাংশ হয়েছে। তৃতীয় স্থানে রয়েছেন, সাবেক মন্ত্রী ররি স্টুয়ার্ট, স্বতন্ত্র এই প্রার্থীর সমর্থন আগের মতো ১৩ শতাংশই রয়েছে।
জরিপে দেখা গেছে যে, শন বেইলি প্রার্থী হিসাবে তার দল থেকে মনোনীত হওয়ার পর ১৮ মাসেও লন্ডনের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ ভোটারের কাছে এখনও পরিচিত নন। জরিপে ৬৬ থেকে ৭৪ শতাংশ ভোটারই তার সম্মন্ধে ‘জানেন না’ বলে মন্তব্য করেছেন। তুলনায় ররি স্টুয়ার্টকে মানুষ বেশি চেনেন। ৫৪ থেকে ৬৬ শতাংশ তাকে ‘জানেন না’ বলে মন্তব্য করেছেন। তবে অর্ধেকের বেশি ভোটারই তাকে ‘সত্যিকারের লন্ডনবাসী’ বলে মনে করেন না।
চতুর্থ অবস্থানে থাকা গ্রিন পার্টির উপ-প্রধান সিয়ান বেরির সমর্থন সাত শতাংশে অপরিবর্তিত রয়েছে, পঞ্চম স্থানে থাকা লিবারেল ডেমোক্র্যাট সিওভান বেনিটার সমর্থন চার পয়েন্ট কমে মাত্র চার শতাংশ হয়ে গেছে। ষষ্ঠ স্থানে রয়েছেন মহিলাদের সমতা দলের প্রার্থী মান্ডু রিড। তার জনসমর্থন মাত্র ১ শতাংশ।
নির্বাচনের মাত্র দুই মাস আগে দেখা যাচ্ছে যে সাদিক খান সবচেয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন। তিনি প্রায় সকল ক্ষেত্রেই শন বেইলির চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। সাদা এবং বিএমই ভোটার, পুরুষ এবং মহিলা, পেশাদার শ্রেণি এবং শ্রমিক, সবার মধ্যেই তার জনপ্রিয়তা বেশি। শুধুমাত্র ব্রেক্সিট ভোটারদের সমর্থনই কনজারভেটিভ প্রার্থী বেইলির আশা বাঁচিয়ে রেখেছে।