কুরআন অধ্যয়ন করছেন পপ স্টার ম্যাডোনা
মার্কিন পপ সঙ্গীত আইকন ম্যাডোনা বর্তমানে কুরআন অধ্যয়ন করছেন। ম্যাডোনা বলেন, ‘আমি মুসলিম দেশগুলোতে মেয়েদের জন্য স্কুল করতে শুরু করেছি এবং কুরআন অধ্যয়ন করছি। আমি মনে করি সকল ধর্মগ্রন্থ পাঠ করা দরকার।’
গত শুক্রবার প্রকাশিত এক নিবন্ধে ম্যাডোনা এ তথ্য প্রকাশ করেন। তাছাড়া ম্যাডোনা তরুণী বয়সে নিউইয়র্কে নতুন এসে ধর্ষিত হয়েছিলেন বলে এই নিবন্ধে জানিয়েছেন। হার্পার’স বাজারে এক নিবন্ধে ম্যাডোনা তার ব্রিটেনে বসবাস এবং পরিচালক গাই রিচির সঙ্গে দাম্পত্য জীবন নিয়েও কথা বলেছেন।
ব্রিটেন সম্পর্কে ম্যাডোনা বলেছেন, ‘ইংল্যান্ডের গ্রাম এলাকার চেয়ে সুন্দর আর কিছুই নেই।’
মিডওয়েস্টে বেড়ে ওঠা ম্যাডোনা তার নিউইয়র্ক আগমন সম্পর্কে লিখেছেন, ‘নিউইয়র্কের সবকিছু ঠিক আমি যেমনটি ভেবেছিলাম তেমনটি ছিল না। এই নগরী আমাকে বুকে টেনে স্বাগত জানায়নি।’ ম্যাডোনা লিখেছেন, ‘আর্ট ক্লাসের জন্য নগ্ন পোজ দিয়ে তাকে বাড়ি ভাড়ার অর্থ জোগাড় করতে হতো।’
তিনি লিখেছেন, ‘এ সময় আমি আমার দিকে হাঁ করে তাকিয়ে থাকা লোকজনের দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকতাম।’
ম্যাডোনা বলেন, ‘প্রথম বছর আমাকে বন্দুকের মুখে আটক করে আমার পিঠে ছুরি ঠেকিয়ে আমাকে টেনে-হিঁচড়ে একটি বাড়ির ছাদে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়।’
ম্যাডোনা আরো লিখেছেন, ‘কেন জানি না; তিনবার আমার অ্যাপার্টমেন্ট চুরি হয়। প্রথমবার রেডিওটা নিয়ে যাওয়ার পর আমার আর মূল্যবান কিছুই ছিল না।’
ম্যাডোনা বলেন, ‘নিউইয়র্ক নগরীর উঁচু ভবনরাজি আর নগরীর বিলাসিতা আমার দম বন্ধ করে দেয়। প্রচ- গরম ফুটপাত, গাড়ির আওয়াজ আর রাস্তায় আমার পাশ দিয়ে ছুটে চলা লোকজনের ভিড় আমার মনের উপর প্রচ- চাপ ফেলে।’
ম্যাডোনা বিশ বছর বয়স পেরিয়েই পপ স্টারে পরিণত হন। ৪৫ বছর বয়সে তিনি ব্রিটেন চলে যান। এ সম্পর্কে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে ম্যাডোনা বলেন, আমার বিবেচনায় একটি ভিন্ন দেশে চলে যাওয়া খুবই সাহসী কাজ। এটি আমার জন্য সহজ ছিল না।
আমি পাব কালচার বুঝতে পারিনি। আমি বুঝতে পারিনি যে প্রকাশ্যে উচ্চাভিলাষী হওয়ায় আমার দিকে লোকে ভ্রুকুটি করতো। আমি আবারও একাকিত্ব বোধ করলাম।
এক দশক পর তার বিয়ে ভেঙ্গে যায় এবং তিনি আবারও নিউইয়র্ক ফিরে আসেন। ম্যাডোনা বলেন, ‘আমি চলচ্চিত্র নির্মাণ শুরু করেছি। যেটি আমার এ পর্যন্ত করা কাজের মধ্যে সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং এবং এতে পুরস্কারও রয়েছে।’