করোনায় বাংলাদেশে প্রথম মৃত্যু
দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪ জনে
বাংলাদেশে এই প্রথম করোনায় আক্রান্ত এক রোগী মারা গেছেন বলে জানিয়েছে রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। এছাড়াও নতুন করে আরো চারজন কভিড-১৯ এ আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে। সবমিলিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪ জনে। আজ বুধবার রাজধানীর মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা করোনাভাইরাস-সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি সত্তুরোর্ধ্ব জানিয়ে সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ‘মারা যাওয়া ওই বৃদ্ধ ব্যক্তি নানান রকম শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন।’ তিনি জানান, আনুষ্ঠানিক কোয়ারাইন্টাইনে এখন রয়েছেন ৪২ জন।
আগামী সপ্তাহ থেকে আইইডিসিআরের তত্ত্বাবধানে দেশের আরো কয়েক জায়গায় করোনাভাইরাসের পরীক্ষা করা হবে বলে জানান তিনি। এছাড়াও সংস্থাটির সেবা সহজ করতে খুব শিগগিরই একটি অ্যাপ চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার নতুন করে দুজন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্তের কথা জানায় আইইডিসিআর। যা নিয়ে সবমোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ১০ জন।
বৈশ্বিক মহামারিতে রূপ নেয়া নভেল করোনাভাইরাস বাংলাদেশে শনাক্ত হয়েছে গত ৮ মার্চ। সেদিন তিনজন আক্রান্ত হওয়ার তথ্য জানায় আইইডিসিআর। পরে গতকাল পর্যন্ত মোট ১০ জনের করোনাআক্রান্তের খবর জানা যায়। এদের মধ্যে প্রথম শনাক্ত তিনজন সুস্থ হয়ে উঠেছেন, যাদের দুজন বাড়ি ফিরে গেছেন।
প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে এরই মধ্যে স্কুল-কলেজসহ সবধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ফ্লাইটও বন্ধ করা হয়েছে। এছাড়াও নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে পরিস্থিতি বুঝে কিছু কিছু এলাকা শাটডাউন করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এছাড়াও প্রয়োজন পড়লে আন্তঃজেলা বাস বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি।