লন্ডনে বেশি দামে পণ্য বিক্রির অভিযোগ বাংলাদেশী বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে
করোনাভাইরাসে লন্ডন প্রবাসী বাংলাদেশি পরিবারগুলো যখন দুশ্চিন্তায় সময় কাটাচ্ছেন তখন কিছু সংখ্যক অসাধু বাংলাদেশি দোকান মালিকরা করোনাভাইরাস–আতঙ্ককে পুঁজি করে চাল, ডাল, তেল, ডিম, মাছ, মুরগি, ভেড়ার মাংস, গরুর মাংস এবং বাংলাদেশি শাকসবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণের মূল্য বৃদ্ধি করে কঠোর সমালোচনায় এসেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, টিভি এবং পত্রিকায় তাদের বিরুদ্ধে নিন্দার ঝড় উঠেছে।
অভিযোগ পাওয়া গেছে, এসব বাংলাদেশি দোকানমালিকরা করোনা আতঙ্ককে কাজে লাগিয়ে বেশি লাভের আশায় ক্রেতাদের অতিরিক্ত পণ্য কেনার দোহাই দিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণের দাম বৃদ্ধি করেছেন কয়েকগুণ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে জানা যায়, অসাধু ব্যবসায়ীরা ৩ পাউন্ডের একটি মুরগি বিক্রি করেছেন ২০ পাউন্ডে, প্রতি কেজি ভেড়ার মাংসের দাম ৬-৭ পাউন্ড হলেও বিক্রি হচ্ছে ১৫ পাউন্ডে। এছাড়া ২ পাউন্ডের ডিমের দাম রাখা হচ্ছে ৭ পাউন্ড।
তবে ব্রিটিশ সুপার স্টোরগুলো পণ্যের দাম রাখছে স্বাভাবিক। ফলে প্রতিনিয়ত সুপার স্টোরগুলো খোলার আগেই ক্রেতাদের দীর্ঘ লাইন পড়ছে। ক্রেতাদের অতিরিক্ত পরিমাণ পণ্য কেনার চাহিদা থাকলেও ব্রিটিশ সুপার স্টোরগুলো জনপ্রতি নির্দিষ্ট পরিমাণের বেশি পণ্য বিক্রি করছেন না। ফলে বেশিসংখক ক্রেতা তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে সেখানে যাচ্ছেন।
জানা গেছে, কিছু স্বার্থপর ক্রেতা প্রয়োজনের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি খাবার মজুত করে রাখায় বাজারে সাময়িকভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। যে পরিবারের ২০ কেজি চালে ১ মাস চলে, তারা কিনছেন ২০০ কেজি। এ ছাড়া মাছ, মাংস, তেল, ডালও কিনছেন কয়েক মাসের জন্য।
এর আগে শনিবার ডাউনিং স্ট্রিটে এক সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাজ্যর খাদ্য ও পরিবেশ মন্ত্রী জর্জ ইউসটিস বলেছেন, ব্রিটেনে প্রচুর খাবার মজুত রয়েছে এবং তা এখনই শেষ হবে না। সুতরাং, ক্রেতাদের উচিত শান্ত হওয়া।
এনএইচ ইংল্যান্ডের ন্যাশনাল মেডিকেল ডিরেক্টর স্টিপেন পয়িস বলেছেন, এই কঠিন সময়ে আমরা যারা অতিরিক্ত পণ্য মজুত করে জনসাধারণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করছি, এজন্য আমাদের লজ্জা পাওয়া উচিত।