রিজেন্ট এয়ারওয়েজের সব ফ্লাইট ৩ মাস বন্ধ থাকবে
কভিড-১৯ রোগের বিস্তার ঠেকাতে বিশ্বব্যাপী স্থগিত হয়ে যাচ্ছে উড়োজাহাজ চলাচল। একই কারণে গত শনিবার রাত ১২টা থেকে ইংল্যান্ড, চীন, হংকং, থাইল্যান্ড ছাড়া সব দেশের সঙ্গে আকাশ যোগাযোগ বন্ধ ঘোষণা করেছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। যাত্রী নেই অভ্যন্তরীণ রুটের ফ্লাইটেও। এ অবস্থায় আগামী ৩ মাসের জন্য ফ্লাইট কার্যক্রম বন্ধ করল দেশীয় বেসরকারি এয়ারলাইনস রিজেন্ট এয়ারওয়েজ।
রিজেন্ট এয়ারওয়েজ সূত্রে জানা গেছে, আন্তর্জাতিক রুটের মধ্যে কাতার, মালয়েশিয়া, ওমান, সিঙ্গাপুর ও ভারতে ফ্লাইট পরিচালনা করে আসছিল রিজেন্ট। বিভিন্ন দেশের আরোপ করা নিষেধাজ্ঞায় একে একে বন্ধ হয়ে যায় এসব রুটের ফ্লাইট। সর্বশেষ গত শুক্রবার থেকে বন্ধ হয়ে যায় ঢাকা-সিঙ্গাপুর রুটের ফ্লাইট। আর অভ্যন্তরীণ রুটের মধ্যে ঢাকা-কক্সবাজার রুটে সপ্তাহে তিনটি ফ্লাইট চালু ছিল। যাত্রী সংকটে যা আজ (রোববার) থেকে তা-ও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে রিজেন্ট এয়ারওয়েজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইমরান আসিফ বলেন, আন্তর্জাতিক যেসব গন্তব্যে আমরা ফ্লাইট পরিচালনা করতাম নভেল করোনাভাইরাসের কারণে একে একে তার সবগুলোই বন্ধ করতে হয়েছে। বিভিন্ন দেশের আরোপ করা নিষেধাজ্ঞা কবে নাগাদ উঠিয়ে নেয়া হবে সেটাও অনিশ্চিত। আবার নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর যাত্রীদের ভ্রমণে আস্থা ফিরতেও সময় লাগতে পারে। সবকিছু বিবেচনা করে আমরা আগামী ৩ মাসের জন্য ফ্লাইট পরিচালনা কার্যক্রম বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এয়ারলাইনসের কর্মীদেরও তিন মাসের বিনাবেতনে ছুটিতে (লিভ উইথ আউট পে) পাঠানো হয়েছে। যা এরই মধ্যেই চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে।
তিনি বলেন, গোটা এভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রিই সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতি কতদিন চলবে, সেটিও জানা যাচ্ছে না। আমাদের রাজস্ব আয় শূন্য শতাংশে চলে এসেছে। এমন চলতে থাকলে আমাদের টিকে থাকাটাই কঠিন হয়ে পড়বে।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ১০ নভেম্বর বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট পরিচালনার মাধ্যমে কার্যক্রমে আসে চট্টগ্রামভিত্তিক ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান হাবিব গ্রুপের প্রতিষ্ঠান রিজেন্ট এয়ারওয়েজ (এইচজি এভিয়েশন লিমিটেড)।