অর্থনীতি রক্ষায় মরিয়া রুহানি
চীনের বাইরে এখন করোনাভাইরাস উপদ্রুত দেশগুলোর মধ্যে ইতালির পর ইরানের পরিস্থিতি সবচেয়ে ভয়াবহ। শনিবার দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মৃতের সংখ্যা শতাধিক বেড়ে ১ হাজার ৫৫৬ জনে দাঁড়িয়েছে। আর আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা এখন ২০ হাজার ৬১০। এখন পর্যন্ত ৭ হাজার ৬৩৫ জন সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি এখন একই সঙ্গে জনস্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক সঙ্কট মোকাবেলার যুদ্ধে নেমেছেন। করোনা মহামারীর মধ্যে তিনি অর্থনৈতিক, সমাজ-রাজনৈতিক এবং স্বাস্থ্য সঙ্কট এই ত্রিমুখী অস্থির পরিস্থিতির মধ্যে একটি ভারসাম্য আনার চেষ্টা করছেন। করোনাভাইরাসের হানা কঠোর অর্থনৈতিক অবরোধের মধ্যে থাকা দেশটির অবস্থা আরো সঙ্গীন করে তুলেছে। সামাজিক, অর্থনৈতিক, ভূরাজনৈতিক সব দিক থেকে ধারাবাহিক সঙ্কটের মধ্যে থাকা দেশটির নাগরিকরাও এরই মধ্যে শাসকদের প্রতি বীতশ্রদ্ধ।
কভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি পবিত্র শহর কোমে প্রথম দুজন মারা যাওয়ার পর ভাইরাসের বিস্তার রোধে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে ইরান। এপ্রিলের শুরুতেই সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন মাজার বা ধর্মীয় স্থানে তীর্থযাত্রীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া জুমার নামাজ জামাতে আদায় এবং সংসদ অধিবেশন সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে।