করোনাভাইরাস একটি পরীক্ষা: মুফতি মেঙ্ক

জিম্বাবুয়ের বিশ্বখ্যাত ইসলামিক পন্ডিত ইসমাইল বিন মুসা মেঙ্ক করোনায় আতঙ্কিত হয়ে দুঃশ্চিন্তা করতে নিষেধ করেছেন। তিনি বলেন, করোনাভাইরাস একটি পরীক্ষা। এই পরীক্ষায় প্রকাশ পাবে আমাদের কার ঈমান কতটুকু শক্তিশালী।তিনি আক্ষেপ করে বলেন, দুঃখের বিষয় হলো, আমরা এ পরীক্ষায় ফেল করতে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, করোনায় আতঙ্কিত হয়ে অন্যায়ভাবে আমরা বিভিন্ন পণ্য মজুদ করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছি। আমাদের পণ্য মজুদের এ অবস্থাই প্রমাণ করে যে, আমরা আল্লাহর ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছি।
তিনি আরও বলেন, অন্যের বেলায় আমাদের তো সেই কাজই করা উচিত, যা আমরা নিজেদের বেলায় নিজেদের জন্য পছন্দ করি। আমাদের তো এ অবস্থায় পণ্য মজুদ নয় বরং আল্লাহর আরও নিকটবর্তী হওয়ার জন্য বেশি বেশি চেষ্টা করা উচিত।

ইসমাইল ইবনে মুসা মেঙ্ক একজন বিখ্যাত মুসলিম শিক্ষাবিদ, ইসলাম প্রচারক ও হৃদয়গ্রাহী বক্তা, যিনি মুফতি মেঙ্ক নামে সমধিক পরিচিত। তিনি বর্তমানে জিম্বাবুয়ের মহান মুফতি বা গ্র্যান্ড মুফতি। ২০১৮ সালে তিনি তার বক্তব্যগুলোর একটি প্রেরণামূলক মুঠোফোন শিরোনামের একটি বই হিসাবে প্রকাশ করেছিলেন এবং ২০১৯ সালে দ্বিতীয় সংস্করণটি প্রকাশ করেন মোটিভেশনাল মোমেন্টস শিরোনামে।এই বইটি বের হবার কিছু দিন পরে বাংলায়ও অনুদিত হয়। মুফতি মেঙ্ক জিম্বাবুয়ের হারারে-তে জন্মগ্রহণ করেন, সেখানেই তার প্রারম্ভিক শিক্ষার হাতেখড়ি। যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পা রাখতে যাবেন, তার আগে জানতে পারেন যে, তার পিতা মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্যে তার নাম দিয়েছিলেন এবং তিনি নির্বাচিত হয়েছেন। তার বাবা তখন তাকে বলেন, মদিনা রাসুলুল্লাহ সা. এর শহর, চেষ্টা করে দেখতে পার গিয়ে, কি হয়। বাবার কথামত তিনি সেখানে যান এবং পরবর্তীতে মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শরিয়া আইনের ওপর উপাধি অর্জন করেন। এরপর ভারতের গুজরাট থেকে আইনশাস্ত্রে উচ্চতর শিক্ষা অর্জন করেন এবং মুফতি উপাধি লাভ করেন।
মেন্ক জিম্বাবুয়ে ইসলামিক স্কোলার কাউন্সিল (মজলিসুল উলামা জিম্বাবুয়ে) এর জন্য কাজ করে, যা জিম্বাবুয়ের মুসলিম জনসংখ্যার শিক্ষাগত চাহিদা পূরণ করে। তিনি হারারেতে মসজিদ আল ফালাহাতে রোস্টের ভিত্তিতে ইমামও রয়েছেন। মেন্ক বিশেষত পূর্ব আফ্রিকায় পরিচিত এবং আন্তর্জাতিকভাবেও শিক্ষা দেন। তিনি হারারেতে ইমাম কাউন্সিলের অধীনে মহিলাদের জন্য একটি সাপ্তাহিক সিস্টার্স লার্নিং প্রোগ্রাম পরিচালনা করেন। মেন্ক প্রায়শই আমন্ত্রণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ এবং কর্পোরেট সংস্থাগুলোতে কথা বলে এবং যুক্তরাজ্য, দক্ষিণ আফ্রিকা, সৌদি আরব, কেনিয়া, উগান্ডা এবং ভারত সহ ২০ টিরও বেশি দেশে উচ্চারিত হয়। ২০০১ সালে, মেনককে সৌদি আরবের আফ্রিকার দাওয়াহ কমিটির কাছে ইসলামের দাওয়াত প্রচারে মিডিয়ার প্রভাব বিষয়ে তার গবেষণার জন্য প্রথম পুরস্কার প্রদান করা হয়েছিল।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button