বিশ্বজুড়ে লকডাউন একশ কোটিরও বেশি মানুষ

বিশ্বজুড়ে ঘরে অবস্থান কিংবা লকডাউনের আওতায় এসেছে ১০০ কোটিরও বেশি মানুষ। নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণজনিত বৈশ্বিক মহামারী কভিড-১৯-এর প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে আঞ্চলিক ও সার্বিক লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছে ৫০টিরও বেশি দেশ। এর মধ্যে কিছু দেশের সরকার এ লকডাউনকে করেছে বাধ্যতামূলক। অন্যরা শুধু নাগরিকদের ঘরে অবস্থানের পরামর্শ দিয়েছে।
প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, আজ সোমবার পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী নভেল করোনাভাইরাসে সংক্রমিত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছে ৩ লাখ ৫৩ হাজারেরও বেশি মানুষ। এর মধ্যে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে কমপক্ষে ১৫ হাজার ৪৩০। সব মিলিয়ে বিশ্বের মোট ১৬৭টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়েছে নভেল করোনাভাইরাস।
বিশ্বব্যাপী বর্তমানে অন্তত ৩৪টি দেশ ও অঞ্চল স্থানীয় বাসিন্দাদের বাধ্যতামূলক লকডাউনের পদক্ষেপ নিয়েছে। এর আওতায় বাধ্যতামূলকভাবে ঘরবন্দি হয়ে আছে প্রায় ৭৬ কোটি মানুষ।

ভারতে ৮০টিরও বেশি শহর ও জেলায় কঠোর লকডাউনের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। বিশ্বের দ্বিতীয় জনবহুল দেশটিতে এ লকডাউনের আওতায় রয়েছে ১০ কোটিরও বেশি মানুষ। নাগরিক বা আঞ্চলিক বাসিন্দাদের জন্য বাধ্যতামূলক ঘরবন্দি হয়ে থাকার ঘোষণা দেয়া অন্য দেশগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো যুক্তরাজ্য, সৌদী আরব, ফ্রান্স, ইতালি, আর্জেন্টিনা, ইরাক ও রুয়ান্ডা।
এর মধ্যে বর্তমানে নভেল করোনাভাইরাসের আক্রমণে সবচেয়ে বড় বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে ভূমধ্যসাগর তীরবর্তী দেশ ইতালি। মৃতের সংখ্যার দিক থেকে এরই মধ্যে চীনকেও ছাড়িয়ে গেছে দেশটি। এখন পর্যন্ত কভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে দেশটির সাড়ে পাঁচ হাজারেরও বেশি নাগরিক। ইতালিতে বর্তমানে নাগরিকদের সব ধরনের ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপিত রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়াসহ তিনটি অঙ্গরাজ্য বর্তমানে সম্পূর্ণ লকডাউনে রয়েছে। ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে সর্বশেষ বাধ্যতামূলক ঘরে থাকার নির্দেশ দিয়েছে গ্রিস। স্থানীয় সময় অনুযায়ী আজ সকাল থেকেই দেশটির সরকারের এ নির্দেশনা কার্যকর হয়। এছাড়া আজ থেকে বাধ্যতামূলক লকডাউন কার্যকর করতে যাচ্ছে কলম্বিয়া। আগামীকাল একই পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে নিউজিল্যান্ড। আগামীকাল শুরু হয়ে পরবর্তী চার সপ্তাহ এ লকডাউন কার্যকর থাকবে। তবে বাধ্যতামূলক লকডাউনের ঘোষণা থাকলেও জরুরি পণ্য বা ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয়দের ঘর থেকে বের হওয়ার সুযোগ দিচ্ছে অধিকাংশ দেশ।
এছাড়া আরো অন্তত ১০টি দেশ ও অঞ্চলে জারি করা হয়েছে কারফিউ। নিষিদ্ধ করা হয়েছে রাতের ভ্রমণ। এসব দেশ ও অঞ্চলে বাস করছে মোট ১১ কোটি ৭০ লাখের মতো মানুষ। এসব পদক্ষেপ নেয়া দেশ ও স্থানের মধ্যে রয়েছে বুরকিনা ফাসো, চিলি, ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলা, সার্বিয়া ও মৌরিতানিয়া। এছাড়া স্থানীয় সময় অনুযায়ী আজ বিকাল থেকেই কারফিউ জারির পদক্ষেপ নিয়েছে সৌদি আরব।
এর বাইরে কিছু দেশ তাদের প্রধান শহরগুলো বিচ্ছিন্ন করার পদক্ষেপ নিয়েছে। শহরে প্রবেশ ও প্রস্থানের ওপর এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে বুলগেরিয়া, কাজাখস্তানের আলমাতি ও নূর-সুলতান এবং আজারবাইজানের বাকুতে। সব মিলিয়ে এসব শহরের বাসিন্দা প্রায় ১ কোটি।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button