কাউন্সিল অব ইউরোপের অভিযোগ:

সামাজিক অধিকার রক্ষায় যুক্তরাজ্যের অনেকগুলো ব্যর্থতা রয়েছে

কাউন্সিল অব ইউরোপ তার সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে ব্রিটেন কম বয়সীদের অপরাধ সংক্রান্ত দায় দায়িত্ব ও তরুণ টিনেজারদের সর্বনিম্ন মজুরীর হার সংশ্লিষ্ট দায়িত্ব পালন এবং সব ধরনের শারীরিক শাস্তি রোধে ব্যর্থতা কাউন্সিল অব ইউরোপ এর সামাজিক অধিকারের মান লংঘন করেছে বলে জানিয়েছে।
সংস্হাটির সোশ্যাল চার্টারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ প্রতিটি দেশের বার্ষিক পর্যালোচনায় দেখা গেছে, যুক্তরাজ্য ৬ টি ক্ষেত্রে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণের বাইরে রয়েছে।

মূলত: ২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল ব্যাপী পর্যালাচনাকৃত এই প্রতিবেদনে তরুণ অপরাধীদের প্রতিষ্ঠানসমূহে ব্যবহারকৃত যন্ত্রণাদায়ক বিরতকরন পদ্ধতির অনুমতি দান, ৬ সপ্তাহ পর অপর্যাপ্ত লেভেলের মাতৃত্ব ভাতা প্রদান এবং পারিবারিকভাবে মিলিত হওয়ার অধিকার অনুশীলনের পর অভিবাসি শ্রমিকদের পরিবারের সদস্যদের অবস্থানের একটি স্বাধীন অধিকার মন্জুর না করার বিষয়গুলোও অন্তর্ভুক্ত।
৪৭ টি সদস্য দেশ সম্বলিত কাউন্সিল অব ইউরোপ, যা ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে আলাদা, আরো জানায়, সদস্য দেশসমূহের উপর তার বার্ষিক পর্যালোচনার উপসংহার বা সিদ্ধান্তসমূহ আইনত: বাধ্যকরি যেমন বাধ্যকরি ইউরোপীয় মানবাধিকার চুক্তি সংশ্লিষ্ট রায়সমূহ যুক্তরাজ্য সরকার চিরাচরিতভাবে এই যুক্তিতে উড়িয়ে দিয়েছে যে, তারা কদাচিৎ এগুলোকে হিসাবের মধ্যে এনে থাকে। কার্যত: কমিটি প্রতিটি দেশকে কোন না কোনভাবে নীতিমালা লংঘনের সমালোচনা করেছে। শুধু আইসল্যান্ড পুরো সংগতিপূর্ণ দেশ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। প্রতিবেদনে অপরাধীদের বয়স সংক্রান্ত দায়-দায়িত্বের ব্যাপারে বলা হয়েছে যে, এটা ১৪ বছরের নীচে হওয়া উচিত নয়। ওয়েলস ও উত্তর আয়ারল্যান্ডে অপরাধীদের দায় সংক্রান্ত সর্বনিম্ন বয়স ১০ বছর, স্কটল্যান্ডে ১২।
সমীক্ষায় দেখা গেছে, ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে ১০থেকে ১৭ বছরের মধ্যেকার শিশুদের হেফাজতে রিমান্ডের সংখ্যা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ৬৬ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিশুদের কারাদন্ড প্রদানের বিষয়টি অবশ্যই একটি সর্বশেষ পন্হা বা উপায় হতে হবে যথাসম্ভব কম মেয়াদী এবং নিয়মিত পর্যালোচনা ভিত্তিক।
শারীরিক শাস্তির বিষয়ে কাউন্সিল অব ইউরোপ ইংল্যান্ডের ওয়েলস ও উত্তর আয়ারল্যান্ডের ব্যাপারে সমালোচনামুখর, যেসব রিজিয়নে ঘুষি ‘যৌক্তিক সমালোচনা’ হিসেবে ব্যাখ্যাকৃত ও বৈধ হয়ে আছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৬ থেকে ১৭ বছর বয়স পর্যন্ত তরুন টিনেজারদের শিক্ষানবিশকালীন মজুরীর লেভেল বা পর্যায় সুষ্ঠু নয়।
প্রতিবেদনে আরো উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে যে, অনিরাপদ অভিবাসন স্ট্যাটাস বা অবস্হার দরুন সংশ্লিষ্ট অভিবাসি পুরুষ ও নারীরা পারিবারিক সহিংসতা ও ধর্ষণের শিকার হওয়া সত্ত্বেও আইনী সুরক্ষা ও সহায়তা নিতে পারছেন না।
প্রতিবেদনে ‘চাইল্ড বেনিফিট’ অর্থ্যাৎ শিশু সুবিধাদি প্রসঙ্গে মন্তব্য করা হয় যে, চাইল্ড বেনিফিটের পরিমান ২০০৯ সাল থেকে একই রকম রয়ে গেছে এবং তাই ‘মেডিয়ান বা মধ্যবর্তী’ আয়ের অনুপাতে তা হ্রাস পেয়েছে বিশেষভাবে দ্বিতীয় ও পরিবর্তী সন্তানদের ক্ষেত্রে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button