আরো কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের কথা ভাবছে যুক্তরাজ্য
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব রোধে আরো দীর্ঘ সময়ের জন্য কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের কথা ভাবছে যুক্তরাজ্য। আজ রোববার এ ইঙ্গিত দেন দেশটির কেবিনেট অফিস মিনিস্টার মাইকেল গোভ। বাসায় অবস্থানের সময়সীমা কতদিন পর্যন্ত বিস্তৃত থাকবে—এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি স্পষ্ট করে কিছু বলেননি। সামাজিক বিচ্ছিন্নতা নীতিমালা অনুসরণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল বলে মনে করেন গোভ।
কঠিন পদক্ষেপ কতদিন বহাল থাকবে বিবিসির অ্যান্ড্রু মার শোতে এমন প্রশ্নের উত্তরে গোভ বলেন, আমি আসলে ঠিক পূর্বাভাস দিতে পারছি না এটা কখন শেষ হবে। বর্তমান কর্মসূচি বহাল থাকাকালে আমাদের অবশ্যই উল্লেখযোগ্য সময়ের জন্য প্রস্তুতি রাখতে হবে। তিনি আরো বলেন, খুব ভালো হতো যদি বলতে পারতাম কখন এ পরিস্থিতির ইতি ঘটবে। কিন্তু এ মুহূর্তে এবং আগামী কয়েক সপ্তাহে কঠোর সামাজিক বিচ্ছিন্নতার নির্দেশনা অনুসরণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
করোনাভাইরাস ঠেকাতে যুক্তরাজ্যে গত সপ্তাহেই দুজনের বেশি মানুষের সমাগমে নিষেধাজ্ঞা, দোকানপাট বন্ধ রাখা এবং অপরিহার্য নয় এমন সব জিনিসের বিক্রি বন্ধের মতো পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
সাধারণ মানুষকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে যে শুধু চারটি কারণে ঘর থেকে বের হওয়া যাবে; অত্যন্ত প্রয়োজনীয় সামগ্রী ক্রয়, শরীরচর্চা, চিকিৎসাসংক্রান্ত যেকোনো প্রয়োজন এবং বাসায় কাজে অক্ষম হলে কর্মস্থলে গমন।
এদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সামাজিক বিচ্ছিন্নতা ও দৈনন্দিন জীবনে আরোপিত বিভিন্ন বিধিনিষেধের প্রভাব পড়ার আগে আরো অন্তত দুই থেকে তিন সপ্তাহ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়বে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক জানান, বর্তমানে সরকার প্রতিদিন ১০ হাজার মানুষকে পরীক্ষা করছে এবং এপ্রিলের মাঝামাঝি নাগাদ দিনে ২৫ হাজার মানুষকে পরীক্ষা করার পথে রয়েছে।