লকডাউনের সময়কালীন আশ্রয় প্রার্থীদের উচ্ছেদ করবে না হোম অফিস
ব্রিটিশ রেডক্রস বলেছে যে, করোনা ভাইরাসের কারণে লকডাউন থাকা অবস্হায় হোম অফিস আগামী তিন মাস সরকারী বাসস্থান থেকে আশ্রয় প্রার্থীদের উচ্ছেদকরণ বন্ধ রাখবে। গত শুক্রবার হোম অফিস মন্ত্রী ক্রিস ফিলপ চ্যারিটিকে লেখা পত্রে এই মর্মে নিশ্চিত করেছেন যে, লোকজনকে তাদের দাবি কিংবা আপীলের ব্যাপারে একবার সিদ্ধান্ত হওয়ার পর তাদেরকে তাদের বাসস্থান ত্যাগ করতে বলবে না।
এই উদ্যোগ, যা চলতি বছরের জুনে পুনর্বিবেচনা করা হবে, অনুযায়ী কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধে লোকজনকে অপ্রয়োজনীয়ভাবে তাদের বাসস্হান ত্যাগ না করতে বলা হয়েছে। চলতি সপ্তাহে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ফিলপ তার পত্রে জানান, বাস্তব ফলাফল হচ্ছে এই যে, আশ্রয় দাবি কিংবা আপীল প্রত্যাখ্যাত হওয়ার দরুন স্বাভাবিকভাবেই যাদের সহায়তা বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা, তারা বাসস্হানে থাকতে পারবে। তিনি বলেন, যাদেরকে শরণার্থী মর্যাদা মন্জুর করা হয়েছে, এবং তাই তাদেরেকে নিজেদের ব্যবস্হা করতে হবে, তারাও বর্তমান বাসস্হানে থাকতে সক্ষম হবে।
তিনি বলেন, আমার প্রত্যাশা এই সিদ্ধান্ত স্হানীয় কর্তৃপক্ষের ওপর উল্লেখযোগ্যভাবে চাপ হ্রাস করবে। হোম অফিসের কর্মকর্তারা আগেভাগেই যুক্তরাজ্য ব্যাপী অতিরিক্ত ব্যবস্হা করার জন্য বাসস্হান প্রদানকারীদের বলেছেন, কারণ এই পরিবর্তনের অর্থ হচ্ছে সহায়তাকৃত আশ্রয় প্রার্থীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।
ব্রিটিশ রেডক্রস এই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে। হোম অফিস আশ্রয় পদ্ধতীকে লকডাউন নির্দেশমাবলীর সাথে সংগতিপূর্ণ করতে জরুরী পদক্ষেপ গ্রহণের আবেদন জানানোর পর ব্রিটিশ রেডক্রস এই ঘোষণাকে স্বাগত জানায়।
এই ঘোষণার অর্থ হচ্ছে যে, আগামী মাসগুলোতে প্রায় ৫০ হাজার লোক তাদের বাসস্হান হারানোর শংকা থেকে মু্ক্ত হলেন।
ব্রিটিশ রেডক্রসের সাথে যুক্ত যুক্তরাজ্যের শরণার্থী সহায়তা ও পারিবারিক সংস্কার বিষয়ক পরিচালক অ্যালেক্স ফ্রেজার বলেন,কারোরই বাসস্হান হারানো ও অসহায় হওয়ার ঝুঁকিতে পড়া উচিত নয় এবং জনগণ নিজেদের তাদের পরিবারের এবং কমিউনিটির সুরক্ষা প্রদানে সক্ষম হবে,তা নিশ্চিত করতে এটা একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
তিনি আরো বলেন, এটা নিশ্চিত করা অতীব গুরুত্বপূর্ণ যে,এ সময়ে প্রত্যেকের বাসস্হান, আর্থিক সহায়তা ও স্বাস্হ্যসেবা লাভের সুযোগ রয়েছে। আমরা এটাকে বাস্তব রুপ দানের জন্য পরবর্তী পরিবর্তন লাভে সরকারের সাথে অব্যাহতভাবে কাজ করার প্রত্যাশায় আছি।