করোনা পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাংবাদিক সম্মেলন
৭২৭৫০ কোটি টাকার আর্থিক প্রণোদনা ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর
করোনা পরিস্থিতিতে শিল্প রক্ষা, বেসরকারি উদ্যোক্তাদের সহায়তা, সামাজিক নিরাপত্তা জোরদার করতে ৭২৭৫০ কোটি টাকার আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ রবিবার সকালে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ প্যাকেজ ঘোষণা করেন। এই প্যাকেজের আওতায় শিল্প প্রতিষ্ঠান আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ঋণ নিতে পারবে। এছাড়া সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে চলমান কার্যক্রমে বাড়তি অর্থ ব্যয় করা হবে। গণভবনে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলন বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ বেসরকারি টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। এসময় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর ফজলে কবিরসহ অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্যাকেজ ও সরকারের উদ্যোগ সবার কাছে পৌঁছে দিতে গণমাধ্যমের প্রতি আহবান জানান।
সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা কার্যক্রম চলমান থাকায় সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন না। করোনার প্রভাবে সম্ভাব্য ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে প্রধানমন্ত্রী সরকারের আশু করনীয়, স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নের পাশাপাশি সরকারি ব্যয় কর্মসৃজন নির্ভর কাজে বেশি করা হবে। এছাড়া বিদেশ সফরকে নিরুসাাহিত করা হবে। প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় কতিপয় ঋণ কর্মসূচির মাধ্যমে দেয়া হবে। ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল হিসেবে শিল্প প্রতিষ্ঠান ভেদে ৩০ ও ২০ কোটি টাকার আলাদা প্যাকেজে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান নিজস্ব তহবিল থেকে ৯ শতাংশ সুদে ঋণ দেবে। তবে এই সুদের পাঁচ শতাংশ সরকার ভর্তুকি দেবে। তিনি বলেন, এই আর্থিক প্যাকেজ বাস্তবায়ন হলে চলমান অবস্থার উন্নয়নে সহায়তা করবে। অর্থনীতি পুনরায় ঘুরে দাঁড়াবে। উদ্যোক্তাদের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা টিকিয়ে রাখাই হবে এই আর্থিক প্যাকেজের মূল লক্ষ্য।
চলমান প্ররিস্থিতিতে অর্থনীতিক প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন হ্রাস পেতে পারে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা তা বিবেচনায় রেখেই কর্মপরিকল্পনা করেছি, পদক্ষেপ নিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা রক্ষায় আমাদের ব্যাপক কর্মসূচি রয়েছে এর আওতা আরও বাড়ানো হবে। গৃহহীন, ভূমিহীন মানুষের জন্য গৃহনির্মাণ কার্যক্রম দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে। অর্থনীতিতে বিরূপ প্রবাহ ঠেকাতে মুদ্রা সরবরাহ বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়া হবে। তবে এতে মুুদ্রাস্ফিতি যাতে না বাড়ে সে পদক্ষেপ নেয়া হবে। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর অর্থমন্ত্রী প্রণোদনা প্যাকেজের ব্যাখ্যা তুলে ধরেন।