তাকওয়া অর্জনে মাহে রমযানের ভূমিকা শীর্ষক সেমিনার
ইসলামী ব্যাংকের উদ্যোগে ‘‘তাকওয়া অর্জনে মাহে রমযানের ভূমিকা’’ শীর্ষক আলোচনা ও ইফতার মাহফিল গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী জি.এম কাদের, এমপি। ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মোঃ ইসকান্দার আলী খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মোহাম্মদ আবদুল মান্নান। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারি অধ্যাপক ও ইসলামী ব্যাংকের শরী’আহ সুপারভাইজরি কমিটির সদস্য ড. মোহাম্মদ মঞ্জুরে-ই-এলাহী এবং মূল বিষয়ের ওপর আলোচনা পেশ করেন সোবহানবাগ জামে মসজিদের খতিব মাওলানা শাহ ওয়ালী উল্লাহ। অনুষ্ঠানে ব্যাংকের বর্তমান ও সাবেক ডাইরেক্টর, স্পন্সর, শরী‘আহ কাউন্সিলের সদস্য ও ঊর্ধ্বতন নির্বাহীবৃন্দসহ দেশের শিল্পপতি, ব্যবসায়ী, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থার নির্বাহীবৃন্দ, সরকারি-বেসরকারি ঊর্ধŸতন কর্মকর্তা, সাংবাদিক-বুদ্ধিজীবী, আলেম, পেশাজীবী ও সমাজের বিভিন্ন স্তরের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী জি.এম কাদের প্রধান অতিথির ভাষণে বলেন, পারিবারিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক জীবনের জন্য ইসলামের সুন্দর দিক নির্দেশনা রয়েছে। তিনি বলেন রমযানের রোজা আমাদেরকে তাকওয়া অর্জনের শিক্ষা দেয় যা ধারণ করতে পারলে আমরা সুন্দর সমাজ গড়ে তুলতে পারব। তিনি বলেন, ইসলামী ব্যাংক ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ও অর্থনৈতিক কর্মকা-ে অবদান রাখার মাধ্যমে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কাজ করছে। মন্ত্রী ইসলামী ব্যাংকের কল্যাণমুখী কার্যক্রম ও সিএসআর কার্যক্রমের প্রসংশা করেন।
ইঞ্জিনিয়ার মোঃ ইসকান্দার আলী খান বলেন, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশে কল্যাণমুখী ব্যাংকিং ধারার প্রবর্তক। দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও আর্তমানবতার সেবায় নিয়োজিত এ ব্যাংক দারিদ্র্য বিমোচনে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। অর্থনৈতিক শোষণ থেকে দেশের জনসাধারণকে মুক্তিদানের লক্ষ্যে সুদবিহীন ব্যাংকিং ব্যবস্থা প্রণয়ন করে দেশের সর্বসাধারণের প্রশংসা কুড়াতে সক্ষম হয়েছে। ইসলামী ব্যাংক আজ এ দেশের মানুষের প্রিয় ব্যাংকে পরিণত হয়েছে। তিনি বলেন সিএসআর কার্যক্রমের মাধ্যমে এ ব্যাংক হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ, স্কুল-কলেজ, কারিগরী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও নার্সিং ইনস্টিটিউটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মোহাম্মদ আবদুল মান্নান বলেন, ইসলামী ব্যাংক শোষণমুক্ত ও বৈষম্যহীন সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। পুঁজিবাদী অর্থ ব্যবস্থার পরিবর্তে ইসলামী অর্থ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও দারিদ্র্য দূরীকরণ সম্ভব। ইসলামী অর্থনীতির সফল বাস্তবায়নের ফলেই মানুষের মধ্যে উপকারের মনোভাব তৈরি হবে। তিনি বলেন, ইসলামের অর্থনৈতিক সুবিচার প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে এ ব্যাংক।
অন্যান্য বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন, মহাগ্রন্থ আল কুরআন নাযিলের কারণেই রমযান মাসের গুরুত্ব এবং মাহাত্ম্য এত বেশি। মানব জাতির হিদায়াত, সুখ-শান্তি, নিরাপত্তা, কল্যাণ এবং ইসলামের শাশ্বত বিধান বাস্তবায়ন, আল্ল¬াহর সাথে মানুষের গভীর সম্পর্ক স্থাপনের লক্ষ্যেই কুরআন মজিদ নাযিল হয়েছিল। পবিত্র কুরআন অনুধাবন, হৃদয়ঙ্গম ও বাস্তব ময়দানে এর পরিপালনের ক্ষেত্রে যে জিনিসটি অগ্রণী ভূমিকা পালন করে, সেটি হলো তাকওয়া। ব্যক্তিগত ও সামষ্টিক জীবনে তাকওয়ার গুণ সৃষ্টির অনন্য উপায় হলো সাওম পালন। সাওম পালনের দ্বারা মু’মিনের মধ্যে আল্লাহর প্রতি গভীর বিশ্বাস, তাঁর নির্দেশাবলি পালনের আগ্রহ এবং তাঁর শাস্তির ভয় সৃষ্টি হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।