ইউরোপে কমতে শুরু করেছে মৃত্যুর মিছিল
অনেকদিন পর আসার আলো দেখলো ইউরোপ। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হু হু করে বাড়তে থাকা একদিনে মৃতের সংখ্যা ইতালি, স্পেন, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যে কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ইতালিতে ২ সপ্তাহের মধ্যে সবচেয়ে কম মানুষ মারা গেছে। একই সঙ্গে ইরান ও নিউইর্য়কে আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে। এসব দেশের কর্মকর্তারা এটিকে লকডাউনের সুফল হিসেবেই মনে করছেন। ইতালিতে রোববার ৫২৫ জন করোনা ভাইরাস সংক্রমণে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত রোগী মারা গেছেন। গত দুই সপ্তাতে এটিই সর্বনিম্ন মৃত্যুর রেকর্ড।
ইতালির জনস্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান সিলভিও ব্রুসাফেরো বলেন, লকডাউনের যে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল তা কাজে দিয়েছে।
এখনো করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যায় শীর্ষে রয়েছে ইতালি। এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট ১৫ হাজার ৮৮৭ জন মানুষ মারা গেছেন। আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২৮ হাজার ৯৪৮ জন।
একই দিনে স্পেনে করোনা আক্রান্ত ৬৭৪ জন মারা গেছেন। ২৬ মার্চের পর ২৪ ঘণ্টায় রোববারই সবচেয়ে কম মানুষ মারা গেছেন। এখন পর্যন্ত স্পেনে ১২ হাজার ৬৪১ জন মানুষ মারা গেছেন এবং আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে।
রোববার যুক্তরাজ্যেও মৃত্যর সংখ্যা বৃদ্ধিও আগের দিনের চেয়ে কমেছে। যুক্তরাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৭ হাজার ৮০৬ জন এবং মৃতের সংখ্যা প্রায় ৫ হাজার।
যুক্তরাজ্যের বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, আরও সাত থেকে ১০ দিন পর যুক্তরাজ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা আসতে পারে। তারপর সংক্রমণের হার নিম্নগামী হবে।
রোববার ফ্রান্সে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৩৫৭ জন মারা গেছেন, যা আগের দিনের চেয়ে ৮৪ জন কম। ফ্রান্সে এ পর্যন্ত প্রায় ৮ হাজার মানুষ মারা গেছেন এবং আক্রান্তের সংখ্যা ৯০ হাজার ছাড়িয়েছে।
ইরানে টানা পঞ্চম দিনের মতো মৃতের সংখ্যা কমেছে। ইরানে এ পর্যন্ত ৩ হাজার ৬০৩ জন মানুষ মারা গেছেন এবং আক্রান্তের সংখ্যা ৫৮ হাজারের মতো।
নিউইয়র্কে মৃত ও আক্রান্তের সংখ্যা প্রথমবারের মতো আগের দিনের চেয়ে কমেছে। রোববার যুক্তরাজ্যের নিউইয়র্ক রাজ্যে ৫৯৪ জন মানুষ মারা গেছেন, আগের দিন এ সংখ্যা ছিল ৬৩০ জন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যায় এ মুহূর্তে বিশ্বে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৯ হাজারের বেশি এবং আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ২৫ হাজারের বেশি।
সোমবার সকাল ৯টার দিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সারাবিশ্বে করোনা ভাইরাস সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছেন ১২ লাখ ৭৩ হাজার ৭০৯ জন। ভাইরাস সংক্রমণে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৬৯ হাজার ৪৫৬ জনের। সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ২ লাখ ৬২ হাজার ৪৮৬ জন।